‘ভারতকে ছাড়াও আমাদের চলবে’
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪১:৫০,অপরাহ্ন ২৯ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৩৩৭ বার পঠিত
স্পোর্টস ডেস্ক
পাকিস্তান-ভারতের সম্ভাব্য সিরিজ নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান শাহরিয়ার খানের কণ্ঠে হাতাশার সুর শোনা গেল। এ সিরিজ নিয়ে তার আশা আপাতত ক্ষীণ। তবে ভারত ছাড়াও পাকিস্তানের চলবে বলে জানালেন তিনি। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক পূর্ণ সিরিজ হয় ২০০৭-০৮ এ ভারতের মাটিতে। এরপর ২০১২ সালের শেষের দিকে ওয়ানডে সিরিজ হলেও পূর্ণাঙ্গ সিরিজ হয় নি। তবে এ বছরের শেষের দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে সন্ত্রাসী হামলার পর দৃশ্যপট পাল্টে যায়। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত সিরিজ খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। ভারত ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এর সচিব অনুরাগ ঠাকুর স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘সন্ত্রাস এবং ক্রিকেট একসঙ্গে চলতে পারে না।’ তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা এ সম্ভাব্য সিরিজ আয়োজনের জন মরিয়ে হয়ে ছিল। তবে এবার সে শক্ত অবস্থান থেকে সরে এলো তারা। খোদ পিসিবির প্রধান শাহরিয়ার খানই সিরিজ নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করলেন। বলেন, ‘দুই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সম্ভাব্য এ সিরিজ হবে না। বিসিসিআই আমাদের এ প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যানও করেনি আবার ‘হ্যা’ও বলেনি। কিন্তু আমরা এমন ঝুলন্ত অবস্থায় বেশিদিন থাকতে চাই না। ভারতের সঙ্গে সিরিজ না হলে আমাদের বিকল্প কিছু ভাবতে হবে। ভারতের সম্মতির জন্য আমরা আর দুই মাস অপেক্ষা করবো। এর মধ্যে কিছু হলে হবে, আর না হলে হবে না।’ তবে এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের রাজনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে তিনি আশা করেছেন। বলেন, ‘আমি আশা করি খুব শিগগিরই দুই দেশের রাজনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে। যদিও দুই দেশের রাজনৈতিক অবস্থা এখন খুবই শোচনীয়। কিন্তু রাজনৈতিক টালমাটালের কারণে ক্রিকেট ভুগতে পারে না। ক্রিকেটকে ক্রিকেটের জায়গায় রাখা উচিৎ।’ ভারত ক্রিকেট বোর্ড অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী হলেও তাদের ছাড়া পাকিস্তানের চলবে বলে জানিয়ে দিলেন শাহরিয়ার খান। বলেন, ‘আমরা জানি, বিসিসিআই অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী। আর সবকিছু মিলিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তদের মধ্যে আমরা রয়েছি। তবে এর অর্থ এই নয় যে, তাদের সঙ্গে খেলা ছাড়া আমরা বাঁচবো না। তাদের সঙ্গে না খেলে বেঁচে আছি এবং বেঁচে থাকবো। তবে আমাদের অবস্থান হলো রাজনীতি এবং ক্রিকেটকে যেন একসঙ্গে মিলিয়ে ফেলা না হয়। ক্রিকেটকে রাজনীতি মুক্ত রাখা তাদেরও (ভারত) দায়িত্ব।