বরিশাল-সিলেট নিয়ে ধোঁয়াশা
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪৭:২৬,অপরাহ্ন ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ৩২৭ বার পঠিত
স্পোর্টস রিপোর্টার
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ টি-টোয়েন্টির (বিপিএল) তৃতীয় আসর মাঠে গড়াবে ছয় অথবা সাতটি দল নিয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান। গতকাল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে পাঁচটি দলের জামানত আছে। এরমধ্যে পুরনো দু’টি ও নতুন তিনটি। তবে দেরিতে হলেও বরিশাল বার্নার্স পাওনা টাকা ও আমাদের নতুন আসরের জন্য সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার জামানত দিয়েছে। আরও দু’টি দলের সঙ্গে কথা হচ্ছে। হয়তো একটি দল টাকা দিয়েও দিবে। আমরা আর দেরি করতে চাচ্ছি না। বোর্ড মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা থাকলেও আমরা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে ক্ষমতা দিয়েছি যেন তারাই সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলে। কিন্তু একটি গাইডলাইন আমরা দিয়ে দিয়েছি সেভাবেই হবে। আমরা পরে সেটি বোর্ড মিটিংয়ে দেখবো।’
অন্যদিকে পাওনা টাকা পরিশোধ করলেও বরিশাল বার্নার্সের মালিকানা হয়তো অন্য কোন ফ্র্যাঞ্চাইজিই পেতে যাচ্ছে বলে জানান নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘যারা নির্দিষ্ট সময়ে টাকা দিয়েছে তাদেরই একজন বরিশাল দলটি নেয়ার কথা। কিন্তু বরিশাল বার্নার্স যেহেতু টাকা দিলেও দেরিতে টাকা দিয়েছে তাদেরকে আমরা সেটি দিতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে। কারণ যারা আগে টাকা দিয়েছে তাদের অধিকারটাতো আগেই থাকবে। এই বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে ক্ষমতা দেয়া আছে যদি তারা আলোচনা করে দিতে পারে দিবে।’ তবে জানা গেছে শুধু বরিশাল বার্নার্স নাম পাওয়ার শর্তে দেরিতে হলেও পাওনা টাকা ও নতুন আসরের জন্য টাকা দিয়েছে আগের দুই আসরের ফ্র্যাঞ্চাইজি আলিফ গ্রুপ। তা না হলে তারা হয়তো টাকাই দিতেন না বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘সেই জন্যইতো বলছি যে, ছয়টি অথবা সাতটি দল নিয়েই বিপিএল হতে পারে। আর এমন কোন শর্তেতো আমরা বরিশালের কাছ থেকে টাকা নিইনি। এটি তারা দেখাতেও পারবে না। আমরা অবশ্যই যারা আগে এসেছে তাদের দাবির গুরুত্ব দিব।’
এদিকে সিলেট রয়্যালসের দাবিদার দু’জন বলে জানান বোর্ড সভাপতি। তিনি বলেন, ‘সিলেটেরও দু’জন দাবিদার আছে। এটি নিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে দাবিদারদের সঙ্গে কথা বলে।’ শোনা যাচ্ছে বিসিবি ও আইসিসি’র সাবেক সভাপতি আহম মোস্তফা কামালের মেয়ে নাফিসা কামাল এবার সিলেট রয়্যালসের পুরো মালিকানা কিনে নিয়েছেন। তবে তারা সিলেট নামে নয় কুমিল্লার নামেই করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যদি গভর্নিং কাউন্সিল রাজি হয় তাহলে হয় কুমিল্লার নামেই দলটি চালাতে পারেন তারা। সেই হিসেবে সিলেট রয়্যালসের মালিকানাও তাহলে নতুন কারও হাতে যেতে পারে বলেই অনুমান করা যায়।’