প্রশ্নপত্র ফাঁস সরকারের জীবন-মরণ সমস্যা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩২:৩৫,অপরাহ্ন ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ৪২১ বার পঠিত
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়টি সরকারের জীবন-মরণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। প্রশ্নপত্র ছাপার পদ্ধতি পরিবর্তন করায় এই সমস্যার সমাধানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সোমবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস’ ইস্যু নিয়ে কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী সরকারি দলের সদস্য মিসেস আমিনা আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ২০১০ থেকে ২০১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ী, মাধ্যমিক স্তরের সিএসওএস (ভোকেশনাল) দাখিল পর্যায়ে ৮৪ কোটি ১৫৫ লাখ পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। ২০১২ সালে গঠিত প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে স্নাতক পর্যায়ের ছাত্রীদের উপবৃত্তির আওতায় ২০১৩ অর্থবছরে ১ লাখ ২৯ হাজার ৮১০ জন ছাত্রীকে ৭২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় সংশোধিত ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ১১টি জেলার ৯০ শতাংশ ছাত্রী ও ১০ শতাংশ ছাত্র এবং বাকি ৫৩টি জেলায় ৩০ শতাংশ ছাত্রী ও ১০ শতাংশ ছাত্র হারে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯১ কোটি ৬৫ লাখ ৩ হাজার টাকা উপবৃত্তি হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগে আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনাসহ যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতো আলাদা কমিশন গঠন করার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট-২ (টিকিউআই-২) ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রজেক্ট (টিকিউআই-২)-এর আওতায় প্রকল্প শুরু থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে ৭৮ হাজার ৫২১ জন শিক্ষককে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম-এর আওতায় ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৫৬৬ জন এবং মাদ্রাসা পর্যায়ে ৫৮ হাজার ২৯৭ জন শিক্ষককে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প শুরু থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ৯২৪ জন বিজ্ঞান শিক্ষককে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে ২৪ হাজার ১২২ জন শ্রেণী শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।