অর্থমন্ত্রীকে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আহ্বান শিক্ষকদের
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩৫:২০,অপরাহ্ন ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ২৯৪ বার পঠিত
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতি জোট বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষকেরা কোনো আলোচনায় বসবেন না। তারা মনে করছেন, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় শিক্ষকরা সুবিচার পাবেন না। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ না নিলে তারা আন্দোলন থেকে এক ইঞ্চিও সরে আসবেন না। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সভাপতি ফরিদউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষকেরা কোনো আলোচনায় বসবেন না। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি উদ্যোগ না নিলে আলোচনা শুরু হবে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পাবলিকলি শুনতে চাই। নইলে আন্দোলন থেকে এক ইঞ্চিও সরব না। আলোচনায় অর্থমন্ত্রী থাকলে শিক্ষকেরা ন্যায়বিচার ও সুবিচার পাবেন না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অর্থমন্ত্রীকে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফেডারেশনের মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে বয়স্ক অর্থমন্ত্রী দেশের উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংস করা এবং শিক্ষাঙ্গনকে অশান্ত করার নীলনকশা বাস্তবায়নে নেমেছেন। আমাদের প্রশ্ন দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সাবেক আমলা ও বর্তমান আমলা পক্ষের একজন অর্থমন্ত্রী হয়ে তার পক্ষে বিভ্রান্তিকর তথ্য সংবলিত বক্তব্য দেওয়া কী শোভা পায়? উচ্চ শিক্ষাবিরোধী মনোভাবের পরিচয় দিয়ে অথবা উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংস করে তিনি কার স্বার্থ হাসিল করতে চাইছেন?
আলাদা বেতনস্কেল ও বিদ্যমান বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে ৩৭টি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আজ রোববার আবারও পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো ক্লাস হচ্ছে না। শিক্ষক নেতারা জানান, ১৭ই সেপ্টেম্বরও শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করবেন। এরপর ঈদের ছুটি হয়ে যাবে। কিন্তু দাবি পূরণ না হলে ঈদের পর আরও কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে।