লন্ডনে আবেগ আপ্লুত খালেদা
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫১:৩১,অপরাহ্ন ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ২৯৭ বার পঠিত
চিকিৎসা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে লন্ডনে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০দলীয় জোট নেতা বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৭ টায় তিনি এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান। এর আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৫ ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন বেগম জিয়া। হিথ্রো বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে বেগম জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান তাঁর বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপার্সন তারেক রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ। ভিআইপি টার্মিনাল থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়া টার্মিনালে অপেক্ষমান বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানের সাক্ষাতের সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। টার্মিনালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার এম এ সালাম, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারি প্রেস সেক্রেটারী মুশফিুক ফজল আনসারী, যুক্তরাজ্য বিএনপির কমিটি সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, এম লুৎফর রহমান, আক্তার হোসাইন, মঞ্জুরুস সামাদ চৌধুরী মামুন, আনোয়ার হোসেন খোকন, শেখ শামসুদ্দীন শামীম, ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান, প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মামুন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, তাজ উদ্দিন, ও কামাল উদ্দিন, সহ-যুগ্ম সম্পাদক সামছুর রহমান মাহতাব, সাংগঠনিক সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু প্রমূখ। বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে মা বেগম জিয়াকে নিয়ে হিথ্রো বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৫ এ সফিটেল হোটেলের সামনে যান, সেখানে খালেদা জিয়া গাড়ী থেকে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। পরে তারেক রহমান মাকে নিয়ে ওয়েষ্ট এন্ড এলাকার একটি হোটেলে যান। ওয়েষ্ট এন্ড এলাকার ওই হোটেলে পৌঁছলে সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান পুত্রবধু ডা. জোবায়দা রহমান, নাতনি জাইমা রহমান এবং ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই কন্যা জাফিয়া রহমান, জাহিয়া রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা।
লন্ডনে দুই সপ্তাহ অবস্থান করবেন বেগম জিয়া। এ সময় তিনি চোখ ও পায়ের চিকিৎসা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাবেন। ইতিমধ্যেই বেগম জিয়ার জন্য চিকিৎসকদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছেন তার পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান। তিনি নিজেই তার শাশুড়ির চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করবেন। এছাড়া দল পুনর্গঠন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ও বিএনপির ভবিষ্যত রূপরেখা নিয়ে গুরুত্বপুর্ণ বৈঠক করবেন দলের দুই শীর্ষ নেতা। খালেদা জিয়া লন্ডন অবস্থানকালে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও নাগরিক সংবর্ধনা, মিট দ্য প্রেস, ও ঈদের দিন শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে বেগম জিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর। পাশাপাশি বৃটেনের মূলধারার একাধিক রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, বৃটিশ সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক হয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের বাইরে এবারই প্রথমবারের মতো সপরিবারে ঈদ উদযাপন করবেন বেগম খালেদা জিয়া। ১/১১ এর প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে লন্ডনে সপরিবারে বসবাস করছেন তার বড় ছেলে তারেক রহমান আর মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই কন্যা। তারা ইতিমধ্যে লন্ডন পৌঁছেছেন। সফর শেষে আগামী ১লা অক্টোবর বেগম জিয়ার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।