অতিরিক্ত ওজনের কারণে ১৩০ বিমানবালাকে ছাঁটাই করলো এয়ার ইন্ডিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:২৭:৪১,অপরাহ্ন ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ৩০৩ বার পঠিত
বহু বছর ধরে এয়ারলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত মালামাল বহনের জন্য বিমান যাত্রীদের জরিমানা করে আসছে। কিন্তু, অতিরিক্ত ওজনের জন্য বিমানবালা গণছাঁটাই করার নজির বোধ হয় খুব বেশি নেই। ভারতের নামকরা এয়ারলাইন প্রতিষ্ঠান এয়ার ইন্ডিয়া প্রায় ১৩০ জন বিমানবালাকে অতিরিক্ত ওজনের কারণে তাদের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেছে। ছাঁটাইয়ের শিকার হওয়াদের অধিকাংশই নারী। গত সপ্তাহের শেষদিকে এয়ারলাইন প্রতিষ্ঠানটি এ ঘোষণা দেয়। এ খবর দিয়েছে বৃটেনভিত্তিক অনলাইন দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ বলছিল, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে ও ভারত সরকারের সম্প্রতি বেঁধে দেয়া নিয়মের ওপর ভিত্তি করে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কিন্তু, সমালোচকরা একে উদ্ভট ও আপত্তিকরভাবে যৌন বৈষম্যবাদী ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ ও স্থূলকায় বিমানবালাদের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছিল গত ১০ বছর ধরেই। তারই সর্বশেষ সংযোজন এ ঘটনা। বিমানবালা পেশায় ২৭ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ৫১ বছর বয়সী নারী শেইলা জোশি বলেছেন, এটা অবিশ্বাস্যভাবে অপ্রত্যাশিত যে কর্মজীবী নারীদের টার্গেট করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এটা মডেলিংয়ের চাকরি নয়। আমরা এখানে কোন ক্যাটওয়াকে অংশ নিচ্ছি না। ওজনের এ বাধ্যবাধকতা নিষিদ্ধের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শেইলা। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টও তার সে আবেদন আমলে না নিয়ে খারিজ করে দেয়। জোশি বলছিলেন, এখন আপনার ওজন মাত্র ১০ গ্রাম বেশি হলেই, বিদায়। অনেক কসরত করে তার উচ্চতার সর্বোচ্চ ওজনসীমা ১৪০ পাউন্ডের নিচে নিজের ওজনটাকে নামিয়ে এনে চাকরিটা বাঁচাতে পেরেছেন তিনি। জোশির উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। এ উচ্চতায় এটাই আদর্শ ওজন। ২০০৬ সালে অতিরিক্ত ওজনের কারণে ৯ নারী বিমানবালাকে বরখাস্ত করেছিল এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। ওই ৯ বিমানবালা আদালতের শরণাপন্ন হলেও, ২০০৮ সালে দিল্লির একটি আদালত এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেই রায় প্রদান করেছিল।