টেন-১০ ভবিষ্যতের জনপ্রিয় ফরমেট
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৪:১৫,অপরাহ্ন ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ৩৩৪ বার পঠিত
টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি নয়, ভবিষ্যেতে টেন-টেন ক্রিকেট দর্শকদের মনে জায়গা করে নিবে বলে মনে করেন সৈয়দ কিরমানি। ১০ ওভারের খেলাই ভবিষ্যতে ক্রিকেটের সবচেয় আকর্ষণীয় ফরমেট হবে বলে বিশ্বাস ভারতের সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাসম্যানের। ৬৫ বছর বয়সী সাবেক এ খেলোয়াড় বলেন, ‘ ‘তিন ফরমেটই বিশ্ব ক্রিকেটে ভালোভাবে জায়গা করে নিয়েছে। তবে খুব শিগগিরই ১০ ওভারের টেন-১০ চালু হবে। আর ক্রিকেটের এই ফরমেটই সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক হবে।’ ১৮৭৭ সালে প্রথম টেস্ট ম্যাচের আর্বিভাব ঘটে। এরপর যতই দিন গড়িয়েছে, টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা ততই বেড়েছে। পাশাপাশি ওয়ানডে ক্রিকেট চলে আসায়, টেস্টের সাথে সীমিত ওভারের ক্রিকেটও বিশ্বকে মাতিয়েছে। টেস্ট ও ওয়ানডের সঙ্গে বিংশ শতাব্দিতে নতুন ফরমেটের আর্বিভাব ঘটে। তা হলো- টি-টোয়েন্টি । ক্রিকেটপ্রেমীদে মনে এই ফরমেটে এখন জায়গা করে নিয়েছে ভালভাবে। বিজ্ঞাপানের বাজারেও এই ফরমেটে ক্রিকেটের দাম বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে এই তিন ফরমেটের সঙ্গে টেন-১০ ক্রিকেট যোগ হলে ক্রিকেটের জৌলুস আরো বাড়বে বলে মনে করেন কিরমানি। বলেন, ‘টেস্ট ও ওয়ানডে দারুণভাবে ক্রিকেটের জৌলুস বাড়িয়েছে। ঠিক তেমনি মানুষের মনে আনন্দও দিয়েছে শতভাগ। আর টি-টোয়েন্টি ফরমেট আসার পর সেই আনন্দের মাত্রা আরও বহুগুণ বাড়ে। এমন অবস্থায় দশ ওভারের ম্যাচ শুরু হলে ক্রিকেটের জৌলুস আরো অনেকখানি বেড়ে যাবে। যেটা হবে অনেক বেশি আনন্দায়ক।’ শুধুমাত্র আনন্দ বা জৌলুসই নয়, এমন ফরমেটের আর্বিভাব ঘটলে ব্যবসায়িক প্রসার বিশ্বব্যাপী আনও বেশি প্রসারিত হবে। আর এটি হবে ক্রিকেটের উন্নতির আরও একটি মাধ্যম বলে মনে করেন কিরমানি। বলেন, ‘টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির কারণে ব্যবসায়িক প্রসার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথম তিন ফরম্যাটের সাথে টেন-১০ ক্রিকেট যুক্ত হলে ক্রিকেটের জন্যই তা ভালো হবে। ক্রিকেট জগতে অনেক বড় একটা পরিবর্তন ঘটবে।’ এছাড়া টেন-১০ ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের মানসিকতাতে পরিবর্তন আনতেও সক্ষম হবে বলে মনে করেন তিনি বেলন, ‘টেন-১০ ক্রিকেটে কোচ না থাকলেও খেলা চালিয়ে নেয়া যাবে। কারণ এখানে দ্রুত রান তুলতে হবে। দ্রুত উইকেট তুলে নিতে হবে। এখানে টেকনিকের কোনো প্রয়োজন হবে না। আর যেহেতু টেকনিকের প্রয়োজন নেই, তাই বোলিং-ব্যাটিং বা অন্য কোনো কোচের প্রয়োজন হবে না। এতে খেলোয়াড়দের মানসিকতারও পরিবর্তন হবে।’ ভারতের হয়ে ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ৮৮ টেস্টে ২ সেঞ্চুরি ও ১২ ফিফটিতে ২৭.০৪ গড়ে করেন ২৭৫৯ রান। আর ৪৯ ওয়ানডেতে ২০.৪২ গড়ে তার রান ৩৭৩।