ওআইসির মাধ্যমে মিনা-বিপর্যয়ের তদন্ত চাই: ইন্দোনেশিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪১:২২,অপরাহ্ন ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ৩১৫ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তরের প্রধান তেতেন মাসদুকি বলেছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো হজযাত্রীদের নিরাপত্তা দেয়া ও মিনার বিপর্যয়ের মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের বিষয়ে সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। খবর-রেডিও তেহরান।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি হজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান এবং এ ব্যাপারে সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তাদের আলোচনা জরুরি বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার সংসদের উচ্চ কক্ষ বা পিপলস কনসাল্টেটিভ অ্যাসেম্বলি’র ভাইস চেয়ারম্যান হেদায়াত নুর ওয়াহিদ বলেছেন, ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এই কমিটির মাধ্যমে মিনায় সংঘটিত বিপর্যয়ের কারণ উদঘাটন করা উচিত।
পবিত্র মক্কার মিনায় যাতে আগামী বছরেও এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য এ ধরনের কমিটি গঠন করতে ওআইসি’র সদস্য দেশগুলোর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
দৈনিক রিপাবলিকা জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার সিনেটের ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, পবিত্র মক্কার মিনা বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে কথা শোনা যাচ্ছে, কিন্তু আমরা চাই একটি তদন্ত কমিটি এই ঘটনার আসল কারণ বের করে তা ঘোষণা করুক।
মিনায় বৃহস্পতিবারের ঘটনায় দুই হাজার নিহত ও আরো দুই হাজার হজযাত্রী আহত হন। এ ঘটনায় ইরানের ১৫৫ জন হজযাত্রী নিহত ও প্রায় সাড়ে তিনশত নিখোঁজ রয়েছেন।
মিনার ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার ১৯ জন হজযাত্রী নিহত হন। এ ছাড়াও দেশটির অনেক হজযাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা চলছে বলে জানানো হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি মক্কা সফর করেছিলেন এবং সে সময়ই ক্রেন ভেঙ্গে পড়ে মক্কার মসজিদুল হারামে প্রায় ১১০ জন হজযাত্রী নিহত হয়।
মিনায় হজযাত্রী পদদলিত হওয়ার ঘটনার ব্যাপারে সৌদি কর্তৃপক্ষকে দায়ি করেছে ইরান ও নাইজেরিয়াও। সৌদি গেজেট পত্রিকার খবর অনুযাযী মিনার ঘটনায় মরোক্কোর ৮৭ জন হজযাত্রী নিহত হয়েছে মিনার ঘটনায়। কিন্তু মরোক্কো সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।
এ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী মিনার ঘটনায় পাকিস্তানের ২৭ জন হজযাত্রী নিহত হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান সরকার সৌদি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস করছে না। পাকিস্তানের লাখ লাখ শ্রমিক ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সৌদি আরবসহ তার প্রভাবিত মধ্যপ্রাচ্যের রাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে কাজ করছে।