গরুর মাংস খেয়েছে সন্দেহে ভারতে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৮:৩১,অপরাহ্ন ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ২৭৯ বার পঠিত
গরুর মাংস খেয়েছে সন্দেহে ভারতে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, দেশটির উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে সোমবার রাতে মোহাম্মদ আখলাক (৫০) নামের ওই বৃদ্ধকে পিটিয়ে আর পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়। এ সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে বৃদ্ধর ছেলে আখলাক (২২)। তিনি হাসপাতালে রয়েছেন।
এ ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কারা গুজব ছড়িয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আখলাকের পরিবার বলেছে, তাদের ফ্রিজে খাসির মাংস ছিল, গরুর মাংস নয়। ওই মাংস পরীক্ষা করে দেখার জন্য জব্দ করেছে পুলিশ । হিন্দু প্রধান ভারতে গরু জবাই স্পর্শকাতর বিষয় এবং উত্তর প্রদেশ অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে অনেক বেশি কঠোরভাবে গরু জবাই ও বিক্রি নিষিদ্ধ।
গোমাংস খাওয়া নিষিদ্ধের এ বিষয়টি ভারতে ক্ষোভও সঞ্চার করেছে। মানুষের খাবারের তালিকায় কি থাকবে, সেটা সরকার কি করে ঠিক করে দিতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
স্থানীয় ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এনপি সিং ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে বলেছেন, “স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি আখলাকের বাড়িতে গুরুর মাংস রাখা এবং গরু জবাইয়ের কাজ করা নিয়ে গুজব রটায়। আর এর জেরেই তার বাড়িতে হামলা হয়।” আখলাকের পরিবারের গুরুর মাংস খাওয়ার ঘোষণাটি একটি মন্দিরে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা কিরণ এস।
ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের এ দাদরি গ্রামেই পরিবার নিয়ে বাস করে আসছিলেন খামারকর্মী আখলাক। তার ১৮ বছর বয়সী মেয়ে সাজিদা জানায়, সোমবার রাতে গ্রামের ১শ’রও বেশি মানুষ তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। বাসায় গরুর গোশত রাখার অভিযোগ তুলে তারা ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে তার বাবা এবং ভাইকে পেটায়। আখলাককে ঘর থেকে টেনে বের করে নিয়ে গিয়ে পেটানো হয় ইট দিয়ে। বিডি নিউজ।