জীবন বদলে দিল ফেসবুক পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২৫:০৩,অপরাহ্ন ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ২৭৬ বার পঠিত
দরিদ্রতার কারণে সন্ধ্যার পর বাড়িতে আলো জ্বালানোর সামর্থ্য ছিলো না হরেন্দ্র সিংয়ের পরিবারের। তাই বাধ্য হয়ে বই খাতা নিয়ে হরেন্দ্র চলে আসতো মেট্রো স্টেশনে। স্টেশনের প্লাটফরমে বসে ল্যাম্পপোস্টের আলোতে বসেই সেরে নিতে হতো পড়ালেখা। হরেন্দ্রর পাশেই থাকতো ওজন মাপার একটি মেশিন।
বই পড়ার ফাঁকে প্লাটফরমের যাত্রীদের কেউ কেউ ওজন মেপে দুই-একটা টাকা দিয়ে যেতেন তাকে। এভাবে প্রতিদিন কমবেশি ৭০ রুপি আয় হলে তা দিয়ে বাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনে বাড়ি ফিরতো।
এভাবেই কোন রকমে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলো সে। বেশ কয়েক দিন আগে প্লাটফরমে ঘুরতে আসা এক যাত্রী হরেন্দ্রর জীবন-যুদ্ধের এই কাহিনী ধারণ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তার এই পোস্টের পরই বদলে যেতে থাকলো ১৩ বছর বয়সী হরেন্দ্রর জীবন।
হরেন্দ্রর এই অধ্যবসায়ের গল্প জানতে পেরে অনেকেই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। খোদ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তাকে পাঁচ লাখ রুপি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। রাষ্ট্রই তার লেখাপড়ার ভার বহন করবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে জেনে সে দারুণ খুশি। বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চায় সংগ্রামী হরেন্দ্র।