প্রশ্নবিদ্ধ সিলেট স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১৮:৩৮,অপরাহ্ন ০৬ নভেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ৩২৪ বার পঠিত
স্পোর্টস ডেস্ক:: সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রথম টেস্টের প্রথমদিন থেকে তৃতীয়দিন পর্যন্ত অনভিপ্রেত ঘটনায় বন্ধ রাখতে হয়েছে খেলা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রথমদিন মাঠে ঢুকে পড়ে এক কিশোর। পরের দিন ঢোকে একটি কুকুর। কাল তৃতীয় দিনেও নিরবচ্ছিন্নভাবে খেলা শেষ হয়নি।
তাইজুল তখন আউট করেছেন জিম্বাবুয়ের পিটার মুরকে। তখনই স্টেডিয়ামের পূর্ব গ্যালারি দিয়ে মাঠে প্রবেশ করে এক যুবক। এক দৌড়ে চলে যায় মুশফিকুর রহিমের কাছে। জাপটে ধরে তাকে। মুশফিক ভক্তকে হতাশ করেননি। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে মাঠ থেকে নিয়ে যান।
টানা তিনদিন এমন অনভিপ্রেত ঘটনায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। প্রথমদিন থেকেই স্টেডিয়ামের নিরাপত্তায় বিসিবির পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা কর্মী না থাকা, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অন্য বাহিনীদের অসতর্কতার কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ক্রিকেট মাঠে দর্শক ঢুকে পড়া নতুন কিছু নয়। ক্রিকেট বিশ্বে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশেও এর আগে সাকিবের ভক্তের প্রবেশ ঘটেছিল মাঠে। মাশরাফি ভক্তের প্রবেশ তো এক নজির তৈরি করেছে। সিলেটের মাঠে অভিষেকের দিনে নিরাপত্তা কর্মীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাঠের ভেতরে ঢুকে পড়ে এক ক্ষুদে ভক্ত।
ম্যাচের দ্বিতীয়দিনে মাঠের ভেতরে ঢুকে পড়ে এক কুকুর। সোমবার তৃতীয়দিনেও নিরাপত্তা ভেদ করে মাঠে ঢুকে পড়ে কল্লোল দেবনাথ নামের এক যুবক। লোহার প্রাচীর ডিঙিয়ে মাঠে প্রবেশ করে দৌড়ে মুশফিকুর রহিমকে জড়িয়ে ধরেন। একের পর এক ঘটনায় বিরক্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), বিরক্ত খেলোয়াড়রাও।
এ ব্যাপারে বিসিবির নিরাপত্তা প্রধান মেজর (অব.) হোসাইন ইমাম বলেন, ‘বিসিবির নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা মাত্র ২০ জন। এতো অল্পসংখ্যক লোকবল দিয়ে পুরো মাঠের নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।অন্য যারা আছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে তাদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি।’ এজন্য তিনি নিরাপত্তা বেষ্টনীর উচ্চতা এবং নিরাপত্তাকর্মীদের অপর্যাপ্ততাকে দায়ী করেন।