অর্থ ভুলে ভালোবাসার টানে বার্সেলোনায় ডি ইয়ং
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৯:৩৯,অপরাহ্ন ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ | সংবাদটি ৩০১ বার পঠিত
স্পোর্টস ডেস্ক:: ‘তোমরা সবাই যে খবরের অপেক্ষায় ছিলে…’ টুইটারে বার্সেলোনার এই খুদে বার্তাই যথেষ্ট ছিল বার্সেলোনার সব সমর্থকের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকেই নাকি ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং তাঁর পরবর্তী ক্লাব হিসেবে পিএসজিকে বেছে নিয়েছিলেন। সেই ডি ইয়ংকে কাল বার্সেলোনার নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতের সেরা মিডফিল্ডার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে যাঁর মাঝে, সেই ইয়ংকে পেয়ে খুশি হবে না কোন ক্লাব!
গতকাল রাতেই ডি ইয়ংকে দলে টেনে নিয়েছে বার্সেলোনা। ৭৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে আগামী জুলাইয়ে বার্সেলোনায় যোগ দেবেন এই মিডফিল্ডার। শর্ত সাপেক্ষে অঙ্কটা ৮৬ মিলিয়ন ইউরোও হতে পারে। অবশ্য এতেও দলবদলের এই পরিমাণ বেশি মনে হচ্ছে না। তাঁর খেলায় নাকি জাভি ও ইনিয়েস্তার ছাপ খুঁজে পান পেপ গার্দিওলা। ইয়োহান ক্রুইফের ছায়াও নাকি দেখা যায় এই মিডফিল্ডারের মাঝে। বার্সেলোনার ইতিহাস বদলে দেওয়া এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে যখন তুলনা হচ্ছে, তাঁকে পেতে এমন টানাটানি হতেই পারে।
অথচ ডি ইয়ংকে পাওয়ার দৌড়ে পিএসজিই এগিয়ে গিয়েছিল। আয়াক্সের মিডফিল্ডার ডি ইয়ং ও ডিফেন্ডার ডি লিটকে বার্সেলোনা দলে টানতে চাইছে বহুদিন ধরে। ডাচ কিংবদন্তি ক্রুইফের অনুসারী দুই ফুটবলারই নাকি বার্সেলোনায় যেতে ইচ্ছুক। ২১ বছরের ডি ইয়ংয়ের জন্য ৭৫ মিলিয়ন ইউরো ও ১৯ বছরের ডি লিটের জন্য ৬৫ মিলিয়ন চেয়েছিল আয়াক্স। কিন্তু বার্সেলোনা প্রথমে এত খরচ করতে রাজি হয়নি। এরই সুযোগ নিয়ে পিএসজি ৭৫ মিলিয়ন ইউরোতেই তাঁকে দলে টেনে নিচ্ছিল। বার্সেলোনার চেয়ে বেশি বেতন দিয়েই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটু কম বেতনেই নাকি বার্সেলোনায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডি ইয়ং।
নেইমার-এমবাপ্পেরা যখন বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদকে উপেক্ষা করে পিএসজির ডাকে সাড়া দিয়েছেন, সেখানে ডি ইয়ং কেন উল্টো কাজটা করলেন? উত্তরটা দিয়েছেন মিকি কিমেনি, ডি ইয়ংয়ের বান্ধবী। তিন বছর পুরোনো একটি যুগল ছবি দিয়ে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘তিন বছর আগে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর আমরা ক্যাম্প ন্যুতে গিয়েছিলাম এবং তোমার স্বপ্নের ক্লাবের ম্যাচ দেখেছিলাম।
আজ (গতকাল) ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি। আজ তুমি বিশ্বকে বলতে পারবে, তুমি তোমার স্বপ্নের ক্লাবের হয়ে খেলতে যাচ্ছ। তুমি তোমার সবচেয়ে বড় স্বপ্নকে বাস্তব বানিয়েছ। প্রতিটি মুহূর্ত এক সঙ্গে উপভোগ করার অপেক্ষায় আছি। আমরা সবাই তোমার স্বপ্নে জীবন যাপন করব।’ পিএসজির অর্থের ঝনঝনানির চেয়ে ভালোবাসার টানটাই গুরুত্ব পেয়েছে ডি ইয়ংয়ের কাছে।
বার্সেলোনায় আসার আগেই ক্লাবের হয়ে অবদান রাখতে পারবেন ডি ইয়ং। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে খেলা আয়াক্সের। আয়াক্সের হয়েও রিয়ালকে হারিয়ে দিলেই তো ভবিষ্যৎ ও বর্তমান দুই ক্লাবের সমর্থকদেরই আনন্দে মাতাতে পারবেন ডি ইয়ং।