বিপিএলে চলছে রেকর্ড ভাঙার ‘সাপলুডু’ খেলা
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৩৭:১৮,অপরাহ্ন ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ | সংবাদটি ২৬৩ বার পঠিত
স্পোর্টস ডেস্ক:: চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনের ম্যাচে রেকর্ড রান তোলে রংপুর রাইডার্স। আগের সর্বোচ্চ রান ছিল ২১৭। সেই ২০১৩ সালে। সেখান থেকে রংপুর রেকর্ডটা ২৩৯ রানে নিয়ে যায়। কুমিল্লা ওই রেকর্ড ভাঙার পথে ছুটছিল। কিন্তু বিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে থেমেছে তারা। খুলনার সামনে লক্ষ্য দিয়েছে ২৩৮ রানের।
এছাড়া বিপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানটাও উঠেছে চলতি আসরে। চিটাগং ভাইকিংস তুলেছিল ২২০ রান। রেকর্ড ভাঙার লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে এবারের বিপিএলে। অথচ বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের শুরুতে স্বল্প রানের ইনিংস হওয়া নিয়ে ছিল নানা কথা। সেই বিপিএল এবার রানের ফুয়ারা খুলে দিয়েছে। দেখা মিলছে বড় বড় স্কোর। বড় সড় সেঞ্চুরি।
কুমিল্লার দলটা দুর্দান্ত। কিন্তু তাদের দল থেকে কেউ সেঞ্চুরি না পাওয়ায় হয়তো একটু আফসোস ছিল দর্শকদের।সেই আফসোস মেটালেন এভিন লুইস। তিনি খেলেছেন ১০৯ রানের হার না মানা ইনিংস। বিপিএলের চলতি আসরে এটি চতুর্থ শত রানের ইনিংস।আর বিপিএল ইতিহাসে ১৬তম। দারুণ এই ইনিংস খেলার পথে লুইস ছক্কা মেরেছেন।এর আগে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার তালিকায় প্রথম ছয়টি নামই ছিল গেইলের। লুইস এবার ছয়ে নাম লেখালেন। এছাড়া তার ইনিংস থেকে চারের মার এসেছে মাত্র পাঁচটি।
এ নিয়ে বিপিএলে কুমিল্লার হয়ে কোন ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি এটি। বিপিএলে কেবল চিটাগং এবং সিলেটের কোন ক্রিকেটারের সেঞ্চুরি নেই। অন্য দলগুলোর পাওয়া হয়ে গেছে শত রানের ইনিংস। তবে চলতি আসরে দর্শকরা দেশি তারকাদের ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি দেখতে মুখিয়ে আছে। সেটা হলেই যেন বিপিএলের চলতি আসরের ষোল কলা পূর্ণ হয়।
শুরুতে ব্যাট করে খুলনার বিপক্ষে ভালো শুরু করে কুমিল্লা। তামিম এবং এভিন লুইস মিলে ৫৮ রান যোগ করার পরে ২৫ রান কের ফিরে যান তামিম। এরপরই ফিরে যান আনামুল হক। পরে আবার ইমরুল ভালো শুরু করেন। তিনি ফিরে যান ২১ বলে ৩৯ রান করে। তবে লুইস ছিলেন অবিচল। সেঞ্চুরি না করে মাঠ ছাড়েননি তিনি। শেষটায় শামসুর রহমান ১৫ বলে ২৮ রান।