মুমিনুলের শতকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫৩:০৪,অপরাহ্ন ২২ নভেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ৩৩৪ বার পঠিত
স্পোর্টস ডেস্ক:: একে একে ফিরছেন টপঅর্ডাররা। তবে একপ্রান্ত আগলে আছেন মুমিনুল হক। দারুণ খেলছেন তিনি। সূচনালগ্ন থেকেই ব্যাট চালাচ্ছেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। ইতিমধ্যে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন পয়েট অব ডায়নামো। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক। এ আটটি সেঞ্চুরির ছয়টিই চট্টগ্রামে করলেন টেস্ট স্পেশালিস্ট।
এ সেঞ্চুরি দিয়ে তামিম ইকবালকে স্পর্শ করলেন মুমিনুল। আট সেঞ্চুরি নিয়ে বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেটের অভিজাত সংষ্করণে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন তামিম। এবার ড্যাশিং ওপেনারকে ছুয়ে ফেললেন তিনি।শেষ খবর পর্যন্ত ৩ উইকেটে ২০০ রান করেছে বাংলাদেশ। ১০৯ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন মুমিনুল। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন সাকিব আল হাসান (২০)।
চলতি বছরের মাঝামাঝিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দূর্গে টেস্ট সিরিজে লজ্জা বরণ করে বাংলাদেশ। হোমগ্রাউন্ডে সেই লজ্জা নিবারণের লক্ষ্য টাইগারদের। এ যাত্রায় টস ভাগ্যকে পাশে পান তারা। জেতেন স্বাগতিক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন সৌম্য সরকার। তবে দীর্ঘ এক বছর পর টেস্টে তার প্রত্যাবর্তনটা হয় একদম বাজে। টেকেন মাত্র দুই বল। প্রথম ওভারেই কেমার রোচের বলে শান ডাওরিচের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন তিনি।
ইনিংসের তৃতীয় বলেই ফেরেন সৌম্য।দ্বিতীয় উইকেটে শক্ত হাতে ইমরুলকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠেন মুমিনুল। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে থাকেন টেস্ট স্পেশালিস্ট। শুরুতে নড়বড়ে থাকলেও ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠেন ইমরুল। ব্যক্তিগত ৩ ও ১৬ রানে লাইফ পাওয়ার পর ছন্দে ফিরতে থাকেন তিনি। তবে হঠাৎই খেই হারান বাঁহাতি ওপেনার। লাঞ্চের ঠিক আগে জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে সুনিল আমব্রিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৫ চারে করেন ৪৪ রান।তাতে ভাঙে ১০৪ রানের জুটি।
ইমরুল সাজঘরে ফেরার পর মুমিনুলকে যথার্থ সঙ্গ দিচ্ছিলেন মোহাম্মদ মিথুন। খেলছিলেন বলের গুণাগুণ বজায় রেখে। এতে মিটছিল পরিস্থিতির দাবি। কিন্তু হঠাৎই পথচ্যুত হন তিনি। অযাচিত শট খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন এ টপঅর্ডার। দেবেন্দ্র বিশুকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডাওরিচের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন মিথুন (২০)।
এ টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তরুণ অফস্পিনার নাঈম হাসানের। ইনজুরি কাটিয়ে দু’মাস পর মাঠে ফিরেছেন সাকিব। এক বছর পর একাদশে ফেরেন সৌম্য সরকার। এ ত্রয়ী অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বাদ পড়েন লিটন দাস, খালেদ আহমেদ ও আরিফুল হক।
চার স্পিনার ও এক পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। একমাত্র পেসার হিসেবে খেলছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ সাজিয়েছে দু’জন করে পেসার ও স্পিনার দিয়ে। স্পিন আক্রমণে লেগ স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুর সঙ্গী বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যান। দলের দুই পেসার হলেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও কেমার রোচ।
বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিথুন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও নাঈম হাসান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), কাইরন পাওয়েল, শাই হোপ, সুনিল আমব্রিস, রোস্টন চেজ, শিমরন হেটমায়ার, শান ডাওরিচ, দেবেন্দ্র বিশু, জোমেল ওয়ারিক্যান, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও কেমার রোচ।