বার্সার জন্য শান্তিমতো ঘুমোতেও পারছেন না ডেম্বেলে
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:১২:৪৬,অপরাহ্ন ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ২৬৬ বার পঠিত
স্পোর্টস ডেস্ক:: সাতসকালে ঘুম থেকে উঠতে চান না অনেকেই। সকালে আরেকটু ঘুমিয়ে নেওয়াটা অনেকেরই অভ্যাস।অথচ এই আরামের ঘুম নষ্ট করার লোকের অভাব নেই। সেটি যদি হয় কোনো ক্লাব! বার্সেলোনা উইঙ্গার ওউসমান ডেম্বেলেকে এমন ঝামেলাই পোহাতে হচ্ছে।
ডেম্বেলের আলস্য নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আলসেমি একটু বেশিই পছন্দ ফ্রেঞ্চ তারকার। সারা রাত ভিডিও গেম খেলে ভোরের দিকে বিছানায় যাওয়াটা তাঁর অভ্যাস।এতে সাতসকালে অনুশীলনে সময়মতো যেতে পারাকে নিয়ে গেছেন দৈনন্দিন রুটিনে। খেসারত হিসেবে বার্সেলোনায় তাঁকে জরিমানার পর জরিমানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সময়মতো অনুশীলনে যেতে না পারায় এরই মধ্যে শুধু জরিমানা হিসেবেই গচ্চা দিয়েছেন প্রায় ২ লাখ ইউরো। তাতেও যদি শিক্ষা হয়!
শাস্তি হিসেবে বার্সায় ম্যাচের পর ম্যাচ বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে।কিন্তু ‘যে লাউ সেই কদু’।সময়মতো অনুশীলনে পৌঁছানোর অভ্যাসটা রপ্ত করতে পারেননি।তবে মাঠে নামলে এই ডেম্বেলেই অন্য মানুষ—মৌসুমের এ পথ পর্যন্ত ৯ গোল আর ৫ অ্যাসিস্ট।এমন পারফরমেন্সের পর তাঁকে দলের বাইরে কঠিন। পারছেন না কোচ ভালভার্দেও। কিন্তু নিয়মিত অনুশীলনে দেরি করে আসা তো আর সহ্য করা যায় না।তাই ডেম্বেলের সাধের ঘুম নষ্ট করার পরিকল্পনা ফেঁদেছে বার্সেলোনা।
ডেম্বেলের রোজকার রুটিনটা আগে জানা উচিত। ফুটবলের পাশাপাশি আরেকটা নেশা আছে তাঁর—ভিডিও গেমস। পুরো বিশ্বে সাড়া ফেলে দেওয়া গেম ‘ফোর্টনাইট’-এর নেশায় অন্যান্য খেলোয়াড়দের মতো তিনিও পড়েছেন। নিজের দেশের বন্ধুদের সঙ্গে এই গেমে মত্ত থাকেন ডেম্বেলে। কিন্তু গেম খেলতে খেলতে কীভাবে রাত পেরিয়ে যায়, সেই হুঁশ থাকে না ডেম্বেলের।
এবার তাঁর হুঁশ ফেরাতেই বাধ সাধতে যাচ্ছেন বার্সা কোচ ভালভার্দে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ডেম্বেলে নিজের ফোন বন্ধ করে ঘুমান। ফলে সকালে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ থাকে না বার্সেলোনার। কাতালান ক্লাবটি তাই ডেম্বেলেকে আর ফোন বন্ধ করে ঘুমোনোর অনুমতি দিচ্ছে না। এখন থেকে ফোন চালু রেখেই ঘুমোতে যেতে হবে ডেম্বেলেকে। সকালে অনুশীলনের আগে তাঁকে বার্সার তরফ থেকেই ফোন করে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেওয়া হবে—এটাই আপাতত সিদ্ধান্ত কাতালান ক্লাবটির। সকালের ঘুম ভাঙিয়ে এখন ট্রেনিংয়ে যোগ দেওয়া লাগবে ডেম্বেলের।
সতীর্থ লুই সুয়ারেজ অবশ্য কিছুদিন আগে ভালো একটা বুদ্ধি দিয়েছিলেন, ডেম্বেলেকে একটা বিয়ে করিয়ে দাও। বিয়ে করলে ছেলেদের জ্ঞানবুদ্ধি বাড়ে, দায়িত্ব বাড়ে। তার পর হয়তো অনুশীলনে ঠিক সময়ে আসার হুঁশ ফিরবে ডেম্বেলের। শিগগিরই অবশ্য বিয়ে করা অবশ্য হচ্ছে না তাঁর। তবে ডেম্বেলের সকালের কাঁচা ঘুম যে এখন থেকে নিয়মিতই ভাঙবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।