চঞ্চল-তিশার কাছে সানির প্রশ্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৪২:৩৩,অপরাহ্ন ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ৩০১ বার পঠিত
বিনোদন ডেস্ক:: সম্প্রতি টিভি চ্যানেল গুলোতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও তিশা অভিনীত বেসরকারি মোবাইল কোম্পানী রবির একটি বিজ্ঞাপন। যেখানে চঞ্চল চৌধুরী তিশাকে বলছে, ‘সিনেমা দেখতে আবার হলে যাইতে হয় নাকি। ডাউনলোড করে দিচ্ছি।’ এই বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে চারিদিকে। ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র মহল সহ মিডিয়ার বিভিন্ন মহলে রবি’র ‘টিভিসি টেলিভিশন, ফেসবুক ও ইউটিউব প্রচার বন্ধ করা এবং খুব দ্রুত নিষিদ্ধ করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
রবি বিজ্ঞাপন নিয়ে চিত্র নায়ক ওমর সানী লিখেছেন, ‘রবির একটা বিজ্ঞাপন দেখলাম, আসলে আমার প্রশ্ন, রবির মালিক এবং মার্কেটিং চিপ কি বাংলাদেশি কিনা ?আমার জানা মতে আমার এক খুব আদরের ভাই ওখানে চাকরি করে এবং আরেকটা বিষয় কথা বলব বিষয়টা হচ্ছে চঞ্চল এবং তিশা তোমরা দুজনই খুব ভালো অভিনেতা অভিনেত্রী ন্যাশনাল এওয়ার্ড পেয়েছো ,টাকা দিলেই যে সব কিছু করতে হবে এরকম কি কোনো নিয়ম আছে ?
আর একজন নির্মাতা কে বানিয়েছে আমি এই মুহুর্তে বলতে পারছি না তার কাছে আমার একটা প্রশ্ন, কোন বিবেক বুদ্ধি নিয়ে তুমি এটা পরিচালনা করছো,এবং আমরা চলচ্চিত্র কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি আর তোমরা একটা শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য মানুষকে জানাচ্ছ তিশা এবং চঞ্চল এর কাছে প্রশ্ন ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড কি টিভিতে অভিনয় করে পাওয়া যায়? না কি চলচ্চিত্রে কাজ করে পাওয়া যায় ,এটা ভেবে দেখবা আমি একজন শিল্পী শিল্পীদের স্বার্থই আমি দেখি কিন্তু তারপরও বলবো , এটার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, ‘যেখানে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাই আমরা মানুষকে সিনেমা হলে যেয়ে সিনেমা দেখতে উৎসাহিত করি সেখানে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া একজন শিল্পী কি করে এমন একটা এ্যাড করে সাধারণ একজন শিল্পী থেকে নিশ্চয় জাতীয় চলচ্চিত্র পাওয়া শিল্পীর দায়বদ্ধতা আরো বেশি। আসুন বন্ধুরা যারা আমাদের দেশের সিনেমার বিরুদ্ধে কাজ করে তাদের বয়কট করি।
চলচ্চিত্র শিল্প আজ প্রায় ধ্বংসের মুখোমুখি, একজন জাতীয় পুরস্কার পাওয়া শিল্পীর মুখে এধরনের ভাষা দুঃখজনক! কোথায় তিনি তার দায়বদ্ধতা থেকে সিনেমা হলে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করবেন, কিন্তু তা না করে উল্টো সিনেমা হলে না যাওয়ার জন্য বলছেন। একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া অভিনেতার এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ সত্যিই দুঃখজনক। পাইরেসি বন্ধ করার জন্য সকলে সোচ্চার, এমন বিজ্ঞাপন একজন শিল্পী কিভাবে করে, সেটাই প্রশ্ন। আসলে টাকার কাছে দায়িত্ব ও নৈতিকতা অনেক সময়ই হেরে যায়।’