শেখ হাসিনা কলকাতা সফর এড়াতে পারেন
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩৯:৩৫,অপরাহ্ন ০৭ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৩৮৪ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত কলকাতা সফরের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও অন্ধকারে। আগামী ২২শে আগস্ট অনুষ্ঠেয় চলতি বছরের সমাবর্তনে তারকা অতিথি হিসেবে প্রেসিডেন্সি শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। শেখ হাসিনাকে তারা সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়ারও পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু তিনি না এলে ডিগ্রি প্রদানের বিষয়টি স্থগিত রাখা এবং পরে তারা সেটি ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রদানের কথাও ভাবছেন। শেখ হাসিনা কলকাতা সফর এড়াতে পারেন শীর্ষক শিরোনামে গতকাল এ খবর দিয়েছে দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া অবশ্য বলেছেন, ‘বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যদিও আমরা এখনও পর্যন্ত কোন সাড়া পাইনি তবে ইতিবাচক সাড়া পাব বলেই আশা করছি।’ তাঁর কথায় ‘যদি তিনি না আসেন তাহলে তাঁর ডিলিট ঢাকায় দেয়ার চিন্তা আছে।’ উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জিও তার ঢাকা সফরকালে শেখ হাসিনাকে কলকাতা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ছিটমহল হস্তান্তরের পটভূমিতে দু’দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে ভারতীয় কর্মকর্তারাও আশা করছেন যে, তিনি এ মাসে কলকাতা সফর করবেন।
তবে কলকাতা সফর চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সাক্ষাৎ ঘটবে। কারণ, ভারতীয় প্রেসিডেন্ট ওই সমাবর্তনের প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার জোকি আহাদ বলেছেন, এরকম একটি ভিভিআইপি সফর হলে সেটা তার জানার কথা। কিন্তু এ বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। হিন্দুস্তান টাইমস এ বিষয়ে গতকাল এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী আসবেন কি আসবেন না তা এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি কলকাতা সফর করতেন, তাহলে বাংলাদেশী নিরাপত্তা টিম হুমকি বিশ্লেষণ এবং সে অনুযায়ী করণীয় নির্ধারণে আগাম কলকাতা সফর করতেন। কিন্তু সে ধরনের কোন অগ্রবর্তী টিমের কোন তৎপরতা নেই।
এ প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমস উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাগত হুমকির দিক থেকে কলকাতায় জামায়াতে ইসলামীর উপস্থিতিও বিবেচনার বিষয়। বাংলাদেশী কূটনীতিকরা বলেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সফর সম্পর্কে কিছুই জানেন না। কিন্তু তাঁরা এর সম্ভাবনা নাকচ করেও দিতে পারেন না।
২০১২ সালে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারী কর্তৃক শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছিল। ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছিল বিশ্বভারতী। অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও তাঁকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দিয়েছে।