রাজনৈতিক কারণে জিএসপি বাতিলের অভিযোগ ঠিক নয়
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪৯:৩১,অপরাহ্ন ১৩ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৪৬৭ বার পঠিত
অর্থনৈতিক রিপোর্টার,
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পোশাকের শুল্কমুক্ত সুবিধা (জিএসপি) হারানো বা পুনর্বহাল না করা রাজনৈতিক কোন ইস্যু নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস বার্নিকাট। তবে জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে বাংলাদেশকে যে ১৬টি শর্ত পূরণ করতে বলা হয়েছে; তা পূরণ করতে পারলে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। গতকাল গাজীপুরে ইউটা ফ্যাশন লিমিটেড এবং ইপিলিয়ন স্টাইল লিমিটেড কারখানা দুটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বার্নিকাট বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন, অনলাইন ডাটাবেজ, সংশোধিত শ্রম আইনের বিধিমালার পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে পারে। বাংলাদেশের পোশাকখাত সম্পর্কে আগে থেকেই উচ্চ মানের ধারণা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে যে দুটি কারখানা পরিদর্শন করলাম তাতে আরও উচ্চ ধারণা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, এই দুটি কারখানা অন্যান্য কারখানার জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে। শুধু রানা প্লাজার দুর্ঘটনা ও রাজনৈতিক কারণে জিএসপি বাতিলের যে অভিযোগ রয়েছে তা সঠিক নয়, কারণ রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ১০ বছর আগ থেকে কারখানার নানা সমস্যা সংবলিত তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হয়। তবে রানা প্লাজার দুর্ঘটনা সেসব সমস্যা ও অভিযোগকে আরও শক্ত করেছে। ত্বরান্বিত করেছে জিএসপি বাতিলের কারণকেও। সামপ্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার অনেক উন্নতি হয়েছে। তবুও কিছু বাকি আছে। বিশেষত ট্রেড ইউনিয়নের গতি, ডাটাবেজ তৈরি ও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়টি এখনও পুরোপুরি সমাধান হয়নি। সবাই এক সঙ্গে কাজ করছি। দ্রুতই সব সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবারও জিএসপি সুবিধা ফিরে পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বাংলাদেশী পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এইচ ই পিয়েরে মাইয়েদোঁ বলেন, এটি কোন বড় সমস্যা নয়। ক্রেতাদের সঙ্গে দরকষাকষি করলেই সমাধান হয়ে যাবে।
বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, জিএসপি হারানোটা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্য। এটা গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রির জন্য ক্ষতি না তবে ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতি। তিনি বলেন, আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য- পোশাক কারখানার মানোন্নয়ন। যদিও এক রানা প্লাজাই পুরো দেশের চিত্র নয়। তবুও সার্বিক মানোন্নয়নে প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থাকতে চাই। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার সব ক্রেতা জোটের পরিদর্শনকে স্বাগত জানিয়েছি। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার গাজীপুরে কারখানা পরিদর্শন করতে যান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন ব্লম বার্নিকাট, কানাডার রাষ্ট্রদূত বিঁনোউইট পিয়েরে লারামী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মাইয়েদোঁ, স্পেনের রাষ্ট্রদূত এডুয়ার্ডো ডি লাইগেসিয়া ওয়াই ডেল রোসাল, অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স ড. লুসিন্ডা বেল, ডেনমার্কের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স, ফ্রান্সের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স জ্যঁ পিয়েরে পোঁসে, কালচারাল সেকশনের ক্লেমেন্ট পাইয়োর, নেদারল্যান্ডের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স মার্টিন ভান হুগস্ট্রাটেন, জার্মানির চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স ড. থমাস প্রিঞ্জ প্রমুখ।