সাংবাদিক প্রবীর কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫১:৫৯,অপরাহ্ন ১৭ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৩৫১ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার,
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে (আইসিটি) দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ সন্ধ্যায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা থেকে তাকে ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলি আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তাকে দশদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য রেখে বিচারক হামিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ। এর আগে রোববার রাতে ঢাকা থেকে পঙ্গু সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। আটকের কয়েক ঘণ্টা পর তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা হয় ফরিদপুরে। ফেইসবুকে লেখার মাধ্যমে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সুনাম ক্ষুণের অভিযোগে গত রাত ১১টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করা হয়। ৭১’এ মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের পরিবারের ১৪ সদস্য মারা যান। মামলার বাদী ফরিদপুরের এপিপি স্বপন পাল জানিয়েছেন, জীবনহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে তার জন্য মন্ত্রীকে দায়ী করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন প্রবীর। এভাবে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে মন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ হয়েছে। ফেইসবুকে লেখালেখির কারণে হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গিয়েছিলেন প্রবীর সিকদার। পুলিশ জিডি গ্রহণ করেনি। এরপরই এ বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তিনি। গত ১০ই অগাস্ট ‘আমার জীবন শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী থাকবেন’ শিরোনামের একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন- আমি খুব স্পষ্ট করেই বলছি, নিচের ব্যক্তিবর্গ আমার জীবন শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন : ১. এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি, ২. রাজাকার নুলা মুসা ওরফে ড. মুসা বিন শমসের, ৩. ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত বাচ্চু রাজাকার ওরফে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং এই তিন জনের অনুসারী-সহযোগীরা। ওই স্ট্যাটাসের কারণেই তাকে রোববার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশ প্রবীরকে আটক করে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। প্রবীর সিকদার ২০০১ সালে দৈনিক জনকণ্ঠের ফরিদপুর প্রতিনিধি থাকার সময় সন্ত্রাসীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু জীবন যাপন করছেন। তার অভিযোগ, সহযোগী মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন লেখার কারণে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা ওই হামলা চালায়। প্রবীর সিকদার বর্তমানে উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ এবং দৈনিক বাংলা ৭১ নামের পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। এর আগে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকেও তিনি কাজ করেছেন।