শরীয়তপুরে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র সহ দূনীতি মামলায় ৯ জন কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৫০:০১,অপরাহ্ন ২০ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৩৩১ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার,
শরীয়তপুরে বিদ্যালয়ের জমি বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুর রব মুন্সী সহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় আব্দুর রব মুন্সী সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ৩০ জুন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস পলাতক থাকার পর বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক জেলা ও দায়রা জজ আতাউর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামীপক্ষের আইনজীবি অ্যাড: তাজুল ইসলাম জানান, মামলার ১২ জন আসামীর মধ্যে ৯ জন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের আদালতে পাঠানোর নিন্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুর পৌরসভার আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ একর ৭১ শতাংশ জমি কম মূল্যে বিক্রি করে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার কামাল মুন্সী সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ২৮ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করে ৩০ জুন অভিযুক্তদের সশরীরে হাজির হতে বললেও হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস পলাতক থাকার পর বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী, আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার কামাল মুন্সী, চিতলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার, আইউব আলী মল্লিক, কুদ্দুস মোল্যা, সুজন সাহা, সংগীতা সাহা, রণজিৎ সাহা ও জমি গ্রহীতা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মজিবুর হাওলাদার, বেগম আলফাতুন্নেছা ও অপর জমি গ্রহীতা আব্দুস সালাম এখনও পলাতক রয়েছেন।
অন্যদিকে, শরীয়তপুরে বিভিন্ন সড়কে গাছ ফেলে অবরত করার সময় পুলিশের অভিযানে পালিয়ে যায় আবরথ কারীরা। এর পরে আংগারিয়া বাজারে সকল দোকান পাট বন্ধ করে দেয় একটি মহল। পরে পুলিশ এসে পরিস্থতি নিয়ন্তনে আনে। এতে কাওকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এখন শরীয়তপুরের অবস্থা থমথম বিরাজ করছে।