‘আমার কবিতা কখনো আমার গদ্যকে শাসন করেনি’—আবুবকর সিদ্দিক
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪৮:৫৫,অপরাহ্ন ২১ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৪৬৬ বার পঠিত
আবুবকর সিদ্দিকের জন্ম বাগেরহাট জেলার বৈটপুর গ্রামে ১৯ আগস্ট ১৯৩৪ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি। বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে অদ্যাবধি কবিতা, গদ্য, গণসংগীত তথা সাহিত্যের প্রায় সকল শাখাতেই তাঁর সহজ বিচরণ। আবুবকর সিদ্দিক বাংলা একাডেমী পুরস্কার, বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ দেশি-বিদেশি বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। অধ্যাপনা থেকে অবসর নিয়ে কবি এখনো লেখালেখিতে নিয়োজিত রয়েছেন। বয়সজনিত শারীরিক দুর্বলতা এবং রাজধানীকেন্দ্রিক সাহিত্যে পরচর্চা আর স্তুতির ভিড়ে নিজেকে মেলাতে না পেরে সুদূর খুলনা নগরীতে স্বজনদের সান্নিধ্য কবির বর্তমান ঠিকানা। তাঁর একাশি বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সাক্ষাত্কারটি মুঠোফোনে ধারণ করেছেন কবি মামুন মুস্তাফা
মামুন মুস্তাফা : বিভিন্ন সময়ে আপনার বক্তব্যের মাধ্যমে আমরা জেনেছি আপনার শৈশব কেটেছে বর্তমান ভারতের বর্ধমান-হুগলীতে। সে বিষয়ে কিছু বলেন।
আবুবকর সিদ্দিক : বাবার চাকরিসূত্রে পশ্চিমবঙ্গের হুগলী শহরে আমার শৈশব কেটেছে। ১৯৪৪ সালের ডিসম্বরে কলকাতায় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বোমা পড়লে বাবা আমাদের দেশে পাঠিয়ে দিলেন অর্থাত্ গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের বৈটপুরে। এসময় বাবা বর্ধমানে চলে গেলেন। বাবা সিএন্ডবিতে কেরানির চাকরি করতেন। পরে অবশ্য আমাদেরকে বর্ধমানে নিয়ে গেলেন। ওখানে ১৯৪৮ সালে আমি ক্লাস সেভেনে উঠলাম। তারপর আবার পূর্ববঙ্গে ফিরে আসা। অর্থাত্ জন্ম বাগেরহাটে, বেড়ে উঠেছি পশ্চিমবঙ্গে আর ক্লাস সেভেনের পর বাকি জীবন পূর্ববঙ্গের মাটিতেই কাটিয়ে দিয়েছি।
মা. মু. : আপনার শৈশব-কৈশোরের বর্ধমান-হুগলী আপনার সাহিত্যকৃতির পেছনে কতটুকু অবদান রেখেছে বলে মনে করেন?
আ. সি. : ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৮ এই সময়টা আমার কেটেছে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান-হুগলীতে, এ সময়টা আমার কাছে এক ব্যতিক্রমী স্বর্ণসময় বলে মনে হয়। ওখানে থাকার ফলে রাজনৈতিক আবহের ভেতরেই বিকশিত হয়েছি। তখন নেতাজী সুভাষ বোস আমাদের কিশোরদের আরাধ্য নেতা। স্কুল থেকে বন্ধুদের কাছ থেকে ‘জয় হিন্দ’ বলে বিদায় নিতাম। আর কংগ্রেস-ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিও ছিল অতিরিক্ত ঝোঁক। বর্ধমান শহরের টাউন হলের রাজনৈতিক সভায় যে চারজন কিশোর উদ্বোধনী সংগীত গাইত, আমি ছিলাম তাদেরই একজন। নেহেরু-গান্ধীর জনসভায় থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেই তখন কংগ্রেসের মিছিলে কিশোর বাহিনীতে থেকে আন্দোলনে অংশ নিয়েছি, শ্লোগান দিয়েছি। তাছাড়া আমার বাবা একজন রাজনীতি-সংস্কৃতিসচেতন মানুষ, তাঁর কাছ থেকেই এ-বিষয়ে দীক্ষা পেয়েছি। এই রাজনৈতিক বাতাবরণ—নেহেরু-গান্ধী-সুভাষ বোসের দর্শন, বিশ্বযুদ্ধের চাপ, ’৭৬-এর মন্বন্তর, দাঙ্গার মতো ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে ফিরে এলাম জন্মভিটে বাগেরহাটের বৈটপুর গ্রামে। আর এ সমস্ত কিছুই পরবর্তী সময়ে আমার লেখক হয়ে ওঠার ভিত্তি রচনা করেছে।
মা. মু. : আপনার অনেক কবিতার উত্স যে বাস্তব প্রেক্ষাপট আমরা তা জানি, যেমন—‘শপথের স্বর’, ‘মানবজাত ভেসে যাচ্ছে’ কিংবা ‘বৈটপুরের যাদুবাস্তবতা’ প্রভৃতি। কিন্তু আপনার কয়েকটি কাব্য নিয়ে আমাদের জানার আগ্রহ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে যদি বলি ‘হেমন্তের সোনালতা’র কথা?
আ. সি. : এর কোনো বাস্তব ভিত্তি খুঁজতে গেলে পাওয়া যাবে না। তবে জগত্সংসারে মানুষের পাওয়া-না-পাওয়ার চরিতার্থতাই এর মূল সুর। সময়ের চাপ, সমাজ-রাজনীতি-ব্যক্তিগত অন্তর্ঘাত—এগুলো মিলিয়েই একটা সময়ের আনুভূমিক চিত্র এই কাব্যে উঠে এসেছে। মূলত একসময় দর্শনশাস্ত্র পড়ে আমি এর দ্বারা আক্রান্ত হই। তবে একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে এর যে রূপান্তর—এগুলো আমাকে ভাবিয়ে তোলে, এর সাথে যুক্ত মার্কসবাদী তত্ত্ব। লক্ষ করলে দেখতে পাবে কীভাবে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে মানুষ অধ্যাত্মবাদিতায় নিজেকে নিবিষ্ট রাখে। কেননা জাগতিক জীবনে মৃত্যু এসে চেটেপুটে নিয়ে যায় অস্তিত্ব আর অনস্তিত্বের বিষয়আশয়। মানুষের পার্থিব জীবন সেই চিরায়ত পথেই হাঁটে, আর হিসাবের কানাকড়ি আঁকড়ে ধরে থেকে যেতে চায় সংসারজীবনে। এই সব জাগতিক দ্বন্দ্ব আর তাকে ছাপিয়ে বৈনাশিক মানুষের খেলাধুলো এবং নিখিল অসহায়তা শূন্য বায়ুলোক জুড়ে কান্নাচাপা শূলব্যথা হয়ে ঘুরে ঘুরে ফেরে। সংসারজীবনে একজন ব্যক্তিমানুষের এইসব মননজটিলতা ‘হেমন্তের সোনালতা’র সারাত্সার।
মা. মু. : আপনার প্রথম পর্বের কাব্যগুলোতে রাজনীতির গন্ধ পাই। ‘ধবল দুধের স্বরগ্রাম’ কিংবা ‘হে লোকসভ্যতা’ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তাছাড়া অনেক পরের দিকে এসে ‘কালো কালো মেহনতী পাখি’তে আপনি বাংলাদেশের আশির দশকের রাষ্ট্রীয়-রাজনীতি এবং এদেশের বামরাজনীতির পতনোন্মুখ দৃশ্য কবিতায় বর্ণনা করেছেন। ’৬০-এর দশকে সন্দীপন গোষ্ঠী এবং বামরাজনীতির সাথে আপনার সম্পৃক্ততাই কি এর প্রধান কারণ?
আ. সি. : হ্যাঁ, এ কথা সত্য যে ’৬০-এর দশকে আমি প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি। আর সন্দীপন গোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ততা প্রধান নয় তবে অন্যতম কারণ। অন্যদিকে কবি বিষ্ণু দে-র সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ, তাঁর রাজনৈতিক দর্শন এবং পরবর্তী সময়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সাথে সখ্য আমার প্রথম দিকের কাব্যে পরোক্ষভাবে ছায়া ফেলে। তবে ‘হে লোকসভ্যতা’য় আশির দশকের সামরিক শাসনের ছায়া থাকলেও মূলত বামরাজনীতিই এর মূল শক্তি। তখনও এর প্রতি আশা বা মোহ ছিল। কিন্তু ‘কালো কালো মেহনতী পাখি’তে মুখ্য হয়ে উঠেছে সে-সময়ের রাষ্ট্রীয় সামরিক শাসনামল এবং এর পশ্চাতে বামরাজনীতির ব্যর্থতা।
মা. মু.: সন্দীপন গোষ্ঠী সম্পর্কে কিছু বলুন?
আ. সি. : খুলনা শহরে ষাটের দশকে সৃষ্টি হয়েছিল ‘সন্দীপন’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। মূলত সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ভেতর দিয়েই সে-সময়ের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক শোষণের বিরুদ্ধে মেহনতী মানুষের পক্ষে কথা বলত সন্দীপন। খুলনার গার্লস কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক খালিদ রশিদের নেতৃত্বে এর সাথে তখন যুক্ত ছিলেন সাধন সরকার, হাসান আজিজুল হক, নাদিম মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। এর আগে আমি কলকাতার আন্ডার গ্রাউন্ড বামরাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তখন তা আরো তীব্র হয় এবং গণসংগীত লেখা শুরু করি। একসময় চরমপন্থি নকশাল রাজনীতির সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ি। বলা যায় এ-সময় থেকে আমার লেখায় গণমানুষ প্রধান হয়ে ওঠে, ব্রাত্যজন ঠাঁই নেয় আমার সাহিত্যে।
মা. মু. : বলা যায় সন্দীপন গোষ্ঠী এবং এই রাজনীতির সাথে যুক্ত হওয়া আপনার গণসংগীত রচনার ভিত গড়ে দেয়। কিন্তু গণসংগীত রচনার প্রেক্ষাপটটা যদি বলেন?
আ. সি. : ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’কে কেন্দ্র করে প্রথম গান লিখি সেই ১৯৫৬-৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুদের অনুরোধে। তবে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক ক্ষোভ প্রকাশের জন্য আমি গণসংগীত লিখিনি। ভেতরের আক্রোশ থেকেই হঠাত্ গানগুলো বেরিয়ে আসত। আমার গানের ভাষাও ছিল ব্যতিক্রম। আমার গানের সুরকার সাধন সরকারও থ’ মেরে যেতেন। একটি গানের কথা বলা যাক—‘বেরিকেড বেয়োনেট বেড়াজাল/ পাকে পাকে ধরো পায়ে সমকাল/ মারি ভয় সংশয় ত্রাসে/ অতিকায় অজগর গ্রাসে’।
মা. মু. : বাংলা ভাষার কবিতায় আপনার নিজস্ব কিছু ব্যতিক্রমী শব্দ প্রতীক-উপমার ব্যবহার লক্ষ করি। তেমনি অনেক পরের দিকের কাব্য ‘রাভী’ আলাদা একটি প্রেমসত্তার নব আবিষ্কারের নাম। এর কবিতাগুলোতে ক্ষরিত জীবনের সংবাদটি শিল্পগুণে উত্তীর্ণ। এখানে প্রেমের কোনো ক্ষুদ্র অস্তিত্বের জায়গা নেই; বরং ক্ল্যাসিক, কুহক ও এপিক স্বর ধ্বনিত হয়েছে। এই কাব্য রচনার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানার আগ্রহ রয়েছে।
আ. সি. : বস্তুত মানুষের মূলীভূত চেতনার মর্মবাণীই এই কাব্যের প্রধান সুর। মূলত মানবাত্মার স্বরূপকে বিচিত্র সম্ভাব্যতায় ধরার চেষ্টা করেছি। স্মৃতির মেদুরতা, নিখাদ প্রেম, অনুভাব্য দ্যোতনা, নিকষিত হেম আর পরণকথা চিত্রমালায় সাজানো ‘রাভী’র উত্সব-আখ্যান। বলতে পারো মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও ধ্বংসের পরিণাম ছাপিয়ে যে অজরামর সত্যসারাত্সার দাঁড়িয়ে থাকে গ্রীবা তুলে, সে এক অবিনশ্বর নারী—নাম তার ‘রাভী’। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।
মা. মু. : আপনি কথাশিল্পী হিসেবেও সমান সফল। আপনার গল্প-উপন্যাস বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে একটা আলাদা স্থান চিহ্নিত করে নিয়েছে। একজন প্রকৃত কবির পক্ষে এটা কীভাবে সম্ভব হলো?
আ. সি. : আমার কবিসত্তা এবং কথাসাহিত্যের সত্তা দুটো ভিন্ন। তবে একই ব্যক্তির একই জীবনবোধ থেকে উত্সারিত। বলতে পারো ঢাকার বাইরে মফস্বলের ব্যাপক জনজীবন রয়েছে। যা আমার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। জীবনে পর্যটনপ্রিয় মানুষ ছিলাম। তাই বোধহয় আমার কবিতা ও গল্প-উপন্যাসের ভাষা স্বতন্ত্র ও স্বকীয়। আর আমিও দৃঢ়চিত্তেই বলতে পারি, আমার কবিতা কখনো আমার গদ্যকে শাসন করেনি।
মা. মু. : ‘জলরাক্ষস’, ‘খরাদাহ’ কিংবা ‘একাত্তরের হূদয়ভস্ম’ নিয়ে আপনি বিভিন্ন আলাপচারিতায় অনেক কথাই বলেছেন যা আমরা জানি। কিন্ত আমরা দেখতে পাই আপনার গল্পের ভাষা একেবারেই স্বতন্ত্র। আপনার গদ্যভাষায় লক্ষ করি একধরনের নিরীক্ষাধর্মী ডাইন্যামিক ভাষারীতির প্রয়োগ। ফলে আপনার কোনো গল্পই পাঠান্তে ফুরিয়ে যায় না। এ প্রসঙ্গে আপনার অভিমত জানতে চাই।
আ. সি. : দেখ, আমি আর কি বলব। তবে এই ভাষা বানানো নয়, সবই ভেতর থেকে উঠে আসা। এই বাংলার ব্যাপক জনজীবন, তাদের সাথে মেলামেশা, কথাবার্তা, চালচলন ইত্যাদি আমি শুধু শাদা চোখে দেখিনি, উপলব্ধি করেছি, পর্যবেক্ষণ করেছি। এসবই পরবর্তী সময়ে আমার সংবেদনশীল পর্যবেক্ষণ, আনুবীক্ষণিক বিশ্লেষণ, পটভূমি অনুযায়ী ভাষারীতির ব্যবহার—কখনো শ্লেষে-বিদ্রূপে কখনো বা মানবিক মর্মিতায় জীবন্ত, আর এর সাথে যুক্ত হয়েছে আমার নিজস্ব চিন্তাপ্রসূত সব উপমা-প্রতীকের আধুনিক ব্যবহার যার ভিতর দিয়ে উঠে এসেছে মূর্তিমান যত রক্তমাংসের মানুষ।
মা. মু. : আপনার সাথে এই আলাপচারিতার শেষ পর্যায়ে এসে জানতে চাই বাংলাদেশের কবিতা ও কথাসাহিত্য প্রসঙ্গে।
আ. সি. : এ বিষয়ে আমি সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারছি না। কবিতার প্রতিনিয়ত রূপান্তর ঘটে। ষাটের দশকের কবিতার পর সেরকম আমি দেখছি না। বর্তমান জীবনব্যবস্থার কারণে হোক আর সস্তা জনপ্রিয়তার সহজলভ্যতার কারণেই হোক কবিতায় উত্সর্গীত প্রাণ চোখে পড়ে না। ষাটের আবুল হাসানের মতো কবিতায় উত্সর্গীকৃত প্রাণ ছাড়া কবিতাকে নিয়ে নিরীক্ষার প্রশ্নই আসে না। আবার আমাদের গল্প-উপন্যাসও গতানুগতিকতার ভেতর দিয়ে চলছে। তবে শহীদুল জহির, মামুন হুসাইন, আহমাদ মোস্তফা কামাল যদিও বেরিয়ে এসেছেন, কিন্তু এক্ষেত্রে তাঁদের আরো একনিষ্ঠ শ্রম ও নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। একসময় জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত সিরিয়াস ছিলেন। কিন্তু হঠাত্ই তিনি নিস্তেজ হয়ে গেলেন। ফলে আমাদের কথাশিল্প একজন শক্তিমান গদ্যকারকে হারালো।
মা. মু. : একাশি বছরে দাঁড়িয়ে জীবন সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
আ. সি. : জীবন সম্পর্কে মূল্যায়ন আমার পক্ষে সম্ভব না। আর আশিকেও আমি কোনো ল্যান্ডমার্ক হিসেবে ধরতে চাই না। পৃথিবী পরিবর্তনশীল। জনজীবনের গতিধারা প্রতিনিয়ত পাল্টাচ্ছে। এই পরিবর্তন ও গতিশীল সমাজব্যবস্থায় জীবনব্যবস্থার সমীকরণই মূল কথা।