টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মেঘমল্লার’
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৪৭:২৭,অপরাহ্ন ২৭ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৩৪৩ বার পঠিত
বিনোদন প্রতিনিধি।
‘৪০ তম টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ২০১৫’ তে প্রদর্শনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান ও বেঙ্গল এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত, বেঙ্গলের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মেঘমল্লার’। জাহিদুর রহিম অঞ্জন পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আগামী ১০ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এই চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার’ অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চলচ্চিত্রটির প্রযোজক ও পরিচালককে।
‘ডিসকভারি’-দি ফিউচার অব ওয়ার্ল্ড সিনেমা-বিভাগে আগামী ১৫, ১৭ ও ২০ সেপ্টেম্বর ৩টি পাবলিক প্রদর্শনীর পাশাপাশি ১২ ও ১৬ সেপ্টেম্বর ‘মেঘমল্লার’ ছবিটির প্রেস ও ইন্ডাস্ট্রি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ বিরতির পর টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের কোন চলচ্চিত্র নির্বাচিত হলো।
উৎসবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মেঘমল্লার এর লিংক : http://tiff.net/festivals/festival15/discovery/meghmallar
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্ষার টানা তিন দিনের কাহিনী নিয়ে মেঘমল্লার ছবির বিয়োগান্তক আখ্যান গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের একটি মফস্বল শহরের সরকারি কলেজের কেমিস্ট্রির শিক্ষক নূরুল হুদা গল্পের মূল চরিত্র। স্ত্রী আসমা ও ৫ বছরের মেয়ে সূধা’কে নিয়ে তার সুখ-দুঃখের মধ্যবিত্ত সংসার। আর তাদের সঙ্গে থাকে আসমার ছোট ভাই মিন্টু।
কাউকে কিছু না বলে মিন্টু একদিন মুক্তিযুদ্ধে চলে যায়। কিন্তু নূরুল হুদাকে ফেলে যায় জীবন-মৃত্যুর সঙ্কটের মধ্যে। তারপরও নূরুল হুদা নিয়মিত কলেজে যায়, পাকিস্তানপন্থী শিক্ষকদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে। মধ্যবিত্তের শঙ্কা, ভয়, পিছুটান তাকে অসহায় করে তোলে। এই অবস্থায় বর্ষার এক রাতে মুক্তিযোদ্ধারা কলেজে এবং পাশের আর্মি ক্যাম্পে আক্রমন করে। কোন কারণ ছাড়াই পাকিস্থানী আর্মি নূরুল হুদা এবং তার বন্ধু আব্দুস সাত্তারকে ধরে নিয়ে যায়। বৃষ্টির মধ্যে যাবার সময় আসমা তাকে মিন্টুর একটা ফেলে যাওয়া রেইনকোট পরিয়ে দেয়। এভাবেই এগিয়ে চলে ‘মেঘমল্লার’ চলচ্চিত্রের কাহিনী।