ফেরা অনিশ্চিত
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৫:১৭,অপরাহ্ন ২৯ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৩২৭ বার পঠিত
বিনোদন প্রতিনিধি,
একসময় মিডিয়াপাড়া যাদের বিচরণে চঞ্চল্যের সৃষ্টি হতো তাদের কেউ কেউ এখন নেই। এদের দেখা যায় না বললেই চলে। তবে কালেভদ্রে জনসম্মুখে আসেন তারা। একঝলক দেখা দিয়েই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। তাদেরই একজন আলোচিত মডেল অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। জুলাই মাসের শেষ দিকে প্রকাশ্যে দেখা দিলেন তিনি। তবে কোন অনুষ্ঠানে নয়। নিছক মেয়ে ও বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোই ছিল তার সেসময়ে বেরিয়ে আসার একমাত্র উদ্দেশ্য। আর সেটা প্রকাশ পায় তিন্নিরই নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে। অবশ্য তার এ প্রকাশ্যে দেখা দেয়া অনেকটা মিডিয়ায় ফেরার ইঙ্গিতই দিয়েছিল। আর এ নিয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তবে ভক্তদের আবারও নিরাশ হতে হচ্ছে। কারণ তিন্নির মিডিয়ায় নিয়মিত হবার কোন সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। তিন্নির সঙ্গে গত মাসের ওই আড্ডার সঙ্গী ছিলেন নাট্যনির্মাতা কৌশিক শংকর দাসও। বাইরে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি রাজধানীর একটি রেস্তরাঁয় আড্ডা জমে তাদের। মিডিয়ায় ফেরার ব্যাপারে তিন্নির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কারণ মিডিয়ায় কারও সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই। মুঠোফোনের নম্বরটি নেই অনেকের কাছে। তবে কৌশিক শংকর দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিন্নির সঙ্গে আমারও কোন যোগাযোগ নেই। আমি তার মোবাইল নম্বর জানি না। আমাকে দেয়নি। সেদিন আড্ডার পর থেকে অনেকেরই ধারণা আমি তিন্নির ব্যাপারে সবই জানি। কিন্তু আমার সঙ্গে সেদিন শুধু গল্পই হয়েছে। আমি মোবাইল নম্বর চেয়ে যদি না পেতাম তাহলে অপমানবোধ করতাম। তাই নিজ থেকে তিন্নির নম্বর নিইনি। এ মুহূর্তে বাইরে তেমন কোথাও দেখা না গেলেও ফেসবুকে ঠিকই সক্রিয় রয়েছেন আলোচিত এ মডেল অভিনেত্রী। প্রেম করে বিয়ে, এরপর সংসার পাশাপাশি ক্যারিয়ার- এসব মিলিয়ে দারুণ সময় কাটছিল তিন্নির। কিন্তু অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোলের সঙ্গে বিচ্ছেদে তার ছন্দপতন হয়। মিডিয়াতে তিন্নি নেই। আর সেই অনুপস্থিতি জন্ম দেয় নানা গুঞ্জন। মাদকাসক্তি, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, গৃহবন্দি, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রবাস ও নিত্য নতুন সম্পর্কের কথা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সময়ে। তবে এসব গুঞ্জন এখনও চলছে সর্বত্র। ২০০৬ সালের ২৮শে ডিসেম্বর অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোলকে বিয়ে করেন তিন্নি। এতে এতটুকু ভাটা পড়েনি তার ক্যারিয়ারে। তবে তাদের দাম্পত্য প্রেমের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়ে গেলে বিকর্তিত হন এই জুটি। কিছুদিনের মধ্যেই সন্তান ধারণ করেন তিন্নি। জন্ম নেয় কন্যা ওয়ারিশা। দাম্পত্য কলহের জের ধরেই ২০০৯ সালের শেষের দিকে তিন্নি-হিল্লোল আলাদা থাকতে শুরু করেন। বিচ্ছেদে আগ্রহ না থাকা সত্ত্বেও ২০১২ সালের শুরুর দিকে হিল্লোলের পাঠানো ডিভোর্স লেটারে স্বাক্ষর করেন তিন্নি।
মেয়ের অভিভাবকত্ব নিয়ে সাবেক স্বামীর সঙ্গে মামলা নিয়েও আলোচনায় আসেন তিনি। সর্বশেষ ‘এই মায়া’ নামের একটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেন তিনি। নেত্রকোনার মেয়ে এ অভিনেত্রী মডেলিংয়ের মাধ্যমে অভিনয়ে আসেন। ২০০৪ সালে তিনি মিস বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি অসংখ্যা জনপ্রিয় টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নির্দেশনায় একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হন তিন্নি। নূরুল আলম আতিকের ‘ডুবসাঁতার’, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ও সোহানুর রহমান সোহানের ‘সে আমার মন কেড়েছে’ চলচ্চিত্রগুলোতেও অভিনয় করেও বেশ প্রশংসা কুড়ান তিন্নি।