বিশেষ প্রতিনিধি শামছুন নাহার জলি,
পুরুষের তুলনায় নারীর যৌন পরিচিতি অনেক নমনীয়। সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, তাদের মধ্যে দ্রুত হারে বাড়ছে উভয়কামীর সংখ্যা। সম্প্রতি নিজেদের যৌন প্রবণতা সম্পর্কে নির্দিষ্ট মতামত দিতে ব্যর্থ হয়েছেন আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন মহিলা সেলিব্রেটি। মাইলি সাইরাস, কারা ডেলেভাইন বা লিলি-রোজ ডেপ-এর মতো নক্ষত্রদের দাবি, পুরুষ ও নারী উভয়ের যৌন আবেদনই তাদের আকর্ষণ করে।
মনোবিদদের ব্যাখ্যা, মহিলাদের মধ্যে উভয়কামীর সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি। তাদের দাবি, যৌনসঙ্গী বাছার ক্ষেত্রে মহিলারা অনেক বেশি উদার। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় বৃটেনের নবীন প্রজন্মের ৫০ শতাংশ কবুল করেছেন, যৌনসঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারা নিজেদের কোনও পর্যায়ভুক্ত করতে নারাজ।
৯০০০ যুবক-যুবতীর উপর করা সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যৌনতার বিষয়ে মহিলারা অনেক ক্ষেত্রেই উভয়কামী। পাশাপাশি, পুরুষদের যৌনতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট পছন্দ রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, মহিলারা জীবনের বিভিন্ন সময়ে তাদের যৌন রুচি পাল্টে ফেলতে সক্ষম।
উদাহরণ হিসাবে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এবং অ্যাম্বার হার্ড ডেপ-এর কথা বলা যায়। ব্র্যাড পিটের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার আগে বেশ কিছু দিন সুন্দরী মডেল জেনি শিমিজু-র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক ও মানসিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন জোলি। অন্য দিকে, হলিউড তারকা জনি ডেপ-কে বিয়ে করার আগে এক মহিলা আলোকচিত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন অ্যাম্বার।
ইন্ডিয়ানার নোত্রদাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডক্টর এলিজাবেথ ম্যাকক্লিনটক জানিয়েছেন, যে সমস্ত মহিলার মধ্যে আকর্ষণীয় উপাদান রয়েছে, উপযুক্ত পরিস্থিতিতে তাদের অনেকেই সমলিঙ্গের যৌনসঙ্গীর প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন। তার সংযোজন, সামাজিক প্রথা মেনে যে সমস্ত নারী পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে সফল যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, সমলিঙ্গের প্রতি তাদের আকৃষ্ট হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় না। তবে যাদের সেই সুযোগ হয়নি, তারা অনেক ক্ষেত্রেই নিজলিঙ্গের সঙ্গী বেছে নেয়ার চেষ্টা করেন।
চিকিৎসকদের মতেও, সুন্দরী নারী নিজেকে বহু ক্ষেত্রে উভয়কামী ভাবেন। তবে পুরুষ সঙ্গীর অভাব দেখা দিলেই সমলিঙ্গের প্রতি ঝোঁকার প্রবণতা দেখা দেয়। অধ্যাপক ম্যাকক্লিনটক-এর দাবি, পুরুষদের মধ্যে সাধারণত উভয়কামীর সংখ্যা নগণ্য। নারীর প্রতি আসক্ত পুরুষের সমলিঙ্গের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার দৃষ্টান্ত বিরল।