‘মৃত গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে দ্রুত নির্বাচন দিন‘
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৪:০১,অপরাহ্ন ৩১ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৩৮৬ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার,
৫ই জানুয়ারির তামাশার নির্বাচনের পর গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায় মন্তব্য করে সেটাকে পুনরুজ্জীবিত করতে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া। বলেছেন, জনগণের কাছ থেকে ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়া মৌলিক-মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন এখন জরুরি। জনগণের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মৃতপ্রায় গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের পথ প্রশস্ত করবেন। বিএনপি’র ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের নেতাকর্মী-সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেয়া এক বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে জনগণের ক্ষমতায়নে ভূমিকা পালন করার জন্য এ দিনে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের যে রাজনীতি তিনি সূচনা করেছিলেন- তা বাকশালীয় একদলীয় রাজনীতি-উত্তর সমাজ ও রাষ্ট্রে জনগণের কাছে সমাদৃত হয়েছে। তাই এদেশের জনগণ বারবার এ দলকে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছে। এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিএনপি সর্বদা জনগণের রাজনৈতিক দল হিসেবে সকল জাতীয়-রাজনৈতিক সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও প্রতিকূলতা ও রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশেও দেশের গণতন্ত্র যতবার বিপন্ন হয়েছে বা গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত এসেছে- বিএনপি সবসময় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরশাসন- গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির চ্যালেঞ্জকে দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবেলা করেছে। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছে। জনগণের আস্থা ও বিশ^াস অক্ষুন্ন রেখে দেশ ও জনগণের সেবায় বিএনপি আগামী দিনগুলোতেও বলিষ্ঠ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে ইন্শাআল্লাহ। খালেদা জিয়া বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বও হুমকির মুখে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশবিরোধী নানা চুক্তি ও কর্মকান্ডের মাধ্যমে বর্তমান সরকার জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে চলেছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ^াস উঠেছে। দেশজুড়ে গণহত্যা. গুম, গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মহোৎসব চলছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করার জন্য নির্লজ্জ দলীয়করণের চুড়ান্ত রূপ দিতে বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কছে ন্যস্ত করার আইন প্রনয়ণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী করার জন্যই এই আইন পাশ করা হয়েছে। এটি পাশ হওয়ার ফলে নিপীড়িত মানুষের আইনি প্রতিকার পাওয়ার শেষ ভরসাটুকুও বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, জনপ্রশাসন আজ্ঞাবহ হওয়ার কারনেই স্থবির হয়ে পড়েছে। যাতে জনমতের প্রতিফলন না ঘটে সেইজন্য গণমাধ্যমের কন্ঠ রুদ্ধ করতে জাতীয় সম্প্রচার নীতি প্রনয়ণ করা হয়েছে। এটি মূলত: এই অবৈধ সরকার কর্তৃক মানুষের বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতাকেই অপহরণ করা। জনগণের অধিকার আদায়, তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা আবারও পূণ:প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি অঙ্গীকারাবদ্ধ। খালেদা জিয়া এ দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।