দুলাভাইসহ দুজনকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০০:৩২,অপরাহ্ন ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ২৪৪ বার পঠিত
গাজীপুরে জোড়া খুনের দায়ে এক যুবকের ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে। বুধবার সকালে গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এই রায় দেন। এসময় পুলিশের হাতে আটক আসামি বদরুল ইসলাম কাঠগাড়ায় উপস্থিত ছিলো। বদরুল ময়মনসিংহ জেলার গফরগাও থানার রৌহা গ্রামের আ. হামিদের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাজীপুরের টঙ্গীর আরিচপুর বউ বাজারের লতিফ গাজীর বাড়ীতে পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকতেন ইসমাইল ও বেলাল। ইসমাইলের বাসায় তার শ্যালক আসামী বদরুল ইসলাম বেড়াতে এসে ২০১০ সালের ১৫ জুন বিকালে বদরুল দুলাভাইয়ের নিকট টাকা চায়। কিন্তু টাকা দিতে না পারলে বদরুল তার দুলাভাই ইসমাইলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এসময় ইসমাইলের মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশী বেলাল এগিয়ে আসলে আসামি বদরুল তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে বেলালও মারা যায়। এ ঘটনায় বেলালের ভাই মো. ফজলু বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরদিন ১৬ জুন পুলিশ বদরুলকে গ্রামের বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক রাজিউর রহমান এ ঘটনায় বদরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে ২০১১ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় ১৩ জন স্বাক্ষী আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। আদালত স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামি বদরুল ইসলাম দোষী স্বাব্যস্ত হওয়ায় তার দুলাভাই ইসমাইলকে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদ-সহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং প্রতিবেশী বেলালকে হত্যার দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট হুমায়ুন কবির এবং সরকার পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহমেদ। রায়ে আসামিপক্ষ ন্যায় বিচার পায়নি বলে দাবী করে আপীল করা হবে জানালেন তিনি।
অন্যদিকে মামলার রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করেন পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহমেদ। এই রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন বলে জানান তিনি।