গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ স্বামী শাশুড়ি গ্রেপ্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩৮:০৬,অপরাহ্ন ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ২৭৩ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার,
নবীগঞ্জে শ্বশুরালয়ে গিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রীকে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়ার ঘটনায় শাশুড়ির ও পাষণ্ড স্বামী নানু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার শেরপুর থেকে ওসি (তদন্ত) গৌর চন্দ্র মজুমদার অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন। গতকাল দুপুরে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তাকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। এসময় পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র জানায় নৃশংস ঘটনায় পাষণ্ড স্বামী নানু মিয়াসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গৃহবধূর পিতা হাজী আবদুর রহিম মামলা করেন। অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ ঢাকা মেডিক্যাল বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২৭শে আগস্ট রাত ৪টায় উপজেলার ছিটফরিদপুর গ্রামে পিত্রালয়ে থাকা স্ত্রী রুমানা বেগমের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তার স্বামী নানু মিয়া। তাৎক্ষণিক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৮শে আগস্ট রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, রুমানার শরীরের ভাগ পুড়ে গেছে। এ ব্যাপারে ২৮শে আগস্ট রুমানার পিতা হাজী আবদুর রহিম মামলা করেন। সোমবার রাতে পুলিশ মহাসড়কের শেরপুর এলাকা থেকে নানু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। নানু মিয়া পুলিশের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। অভিযুক্ত নানু মিয়া জানায়, স্ত্রী রোমানা স্বামী-সন্তানের রেখে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ায় ক্ষোভে সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ছিট ফরিদপুর গ্রামের আবদুর রহিমের কন্যা রোমানা বেগম (২৩) যৌতুকের দাবিতে নির্যাতিত হয়ে পিত্রালয়ে চলে আসে। বুধবার রাতে শ্বশুরালয়ে গৃহবধু রোমানানাকে স্বামী নানু মিয়া শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। তার স্বামীর বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলার কালনীচর গ্রামে। ওই গ্রামের ছালিক মিয়ার পুত্র নানু মিয়া দুবছর আগে ভালবেসে রোমানাকে বিয়ে করে। এর পর থেকেই গৃহবধূ রোমানাকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করত। সোমবার সন্ধ্যায় থানার ওসি (তদন্ত) গৌর চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মহাসড়কের শেরপুর থেকে পাষাণ্ড নানু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।