সবাই একটা সিস্টেমের মধ্যে আসা উচিৎ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩৯:২৫,অপরাহ্ন ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ৩৪৮ বার পঠিত
বিনোদন প্রতিনিধি,
টিভি নাটকের সঙ্গে দীর্ঘ বছর ধরে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান। জড়িয়ে আছেন মঞ্চনাটকের সঙ্গেও। পাশাপাশি তার বিচরণ রয়েছে চলচ্চিত্রেও। বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মারুফ কিবরিয়া
এখন কি নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে?
দীর্ঘদিন পর মঞ্চে কাজ করছি। দশ বছর হবে। ‘দেওয়ান গাজীর কিস্সা’ নাটকের মাধমে মঞ্চে নিয়মিত হলাম। এর মঞ্চায়ন হবে আগামী ১১ই সেপ্টম্বর। আর তারই রিহার্সাল নিয়ে ব্যস্ত আছি। প্রতিদিন নিয়ম করে শিল্পকলায় যাচ্ছি। কাজ করছি নিয়মিত। নাটকটি নিদের্শনা দেবেন বিশিষ্ট নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর।
এতদিন পর মঞ্চে নিয়মিত হলেন। এ নিয়ে অনুভূতি কেমন?
এর আগে ২০০৫ সালে প্রয়াত নাট্যব্যাক্তিত্ব খালেদ খানের নিদের্শনায় ‘কাল সন্ধ্যা’ নাটকে কাজ করেছিলাম। এরপর আর মঞ্চে ফেরা হয়নি। তাই অনুভূতি তো অবশ্যই রোমাঞ্চকর। তবে দীর্ঘদিন পর মঞ্চে ফেরার জন্য যতটা না রোমাঞ্চিত তার চেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত ‘দেওয়ান গাজীর কিস্সা’ নাটকে ‘লাইলী’ চরিত্রটি রূপদান করতে যাচ্ছি বলে। কারণ এ চরিত্রে এর আগে সারা যাকের, নিমা রহমান ও বিপাশা হায়াতের মতো অভিনেত্রীরা অভিনয় করেছেন। তাদের জায়গায় আমি অভিনয় করছি। এটা সত্যিই একটা সৌভাগ্যের বিষয়। সেসঙ্গে সন্মানেরও। আর সেজন্য নিয়মিত নিজেকে তৈরি করে যাচ্ছি। মঞ্চে দর্শকের সামনে লাইলীকে ঠিকভাবে মেলে ধরতে অনেক পরিশ্রম করছি। বাকিটা মঞ্চায়নের অপেক্ষায় থাকলো।
টিভি নাটকের কাজ কি তাহলে বন্ধ করলেন?
হ্যাঁ, এখন টিভি নাটকে কোন কাজ করছি না। আমার ধ্যান-জ্ঞান সব লাইলীর জন্য। আগামী ১১ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিভি নাটকের কাজ বন্ধ। এরপর থেকে ফের নিয়মিত হবো বলেই আশা করছি। ঈদের পর থেকেই আমি টিভি নাটকের শুটিং করছি না। মঞ্চের কাজ শুরু হয়েছে আগস্ট মাসের প্রথম থেকে। আর এ নিয়েই এতদিন সব ব্যস্ততা যাচ্ছিল।
এখনকার টিভি নাটকের মান নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?
টিভি নাটকের কথা কি বলবো। এখন অনেক চ্যানেল হয়েছে। সে সঙ্গে কাজও বেড়েছে। নাটক নির্মাণ হচ্ছে প্রচুর। আর এ বিষয়ে আমি পজিটিভ ধারণাই করি। চ্যানেল বেড়েছে আর কাজের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়ায় কোনটা ভাল কোনটা খারাপ তা চোখে পড়ে। আর আমি বলবো এখন নাটকের মান আগের তুলনায় অনেক ভাল হয়েছে।
অধিক বিজ্ঞাপন দর্শককে নাটক থেকে চোখ সরিয়ে নিতে বাধ্য করছে বলে একটা অভিযোগ প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনি কি মনে করেন?
দেখুন বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে তো আমি কিছু বলতে পারবো না। কারণ বিজ্ঞাপন না হলে চ্যানেল অচল হয়ে যাবে। তবে এটা সত্যি যে, আমাদের চ্যানেলগুলোতে নাটক প্রচারকালীন অধিক বিজ্ঞাপন প্রচার হয়। যা দর্শককে বিরক্ত করতে বাধ্য করে। কিন্তু এ বিষয়ে আমি কিছু বলে খুব একটা লাভ হবে না ।
তাহলে সমাধানটা কি হওয়া উচিৎ বলে মনে হয়?
সমাধান চ্যানেল কর্তৃপক্ষের হাতে। তারা যদি নাটক প্রচারকালীন বিজ্ঞাপনটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তাহলে আর কোন ঝামেলা থাকবে না। তবে এর জন্য সবাই একটা সিস্টেমের মধ্যে আসা উচিৎ। চ্যানেল, বিজ্ঞাপনী সংস্থা সবার এগিয়ে আসতে হবে। আর এই সিস্টেমটা যদি হয়ে যায় তাহলে দর্শকের জন্য অনেক উপকার হবে বলে মনে করি আমি।
আপনি দুটো চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। সেগুলোর কি অবস্থা?
‘ছিটকিনি’ ছবিটির ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি অংশের শুটিংয়ের জন্য শীতকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ যে কাজটুকু বাকি আছে সেটার জন্য শীত ঋতুর প্রয়োজন। এ ছবিটি পরিচালনা করছেন সাজেদুল আউয়াল। অন্যদিকে মৃত্তিকা গুণ পরিচালিত ‘কালো মেঘের ভেলা’ ছবিটির কাজ শেষ হয়েছে। এ দুটো ছবিই সরকারি অনুদানের।
মিডিয়ার বাইরের সময়টা আপনার কিভাবে কাটে?
মিডিয়ার বাইরে আমি মূলত পরিবারকে সময়টা দিই। বিশেষত আমার একমাত্র মেয়ে রাজেশ্বরী। ওকে নিয়েই আমার পুরো সময়টা কেটে যায়। আর বন্ধুদেরও মাঝে মাঝে সময় দিতে হয়। এইতো এভাবেই যাচ্ছে দিন।