আলোচিত নায়িকাদের ছবি কমছে
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫১:৫৩,অপরাহ্ন ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ৩১২ বার পঠিত
বিনোদন প্রতিনিধি,
প্রত্যাশানুযায়ী সাফল্য না আসায় সময়ের আলোচিত নায়িকাদের হাতে ছবির সংখ্যা কমে আসছে। বছর দুয়েক আগেও যেসব নায়িকার ছবি দেখার জন্য দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে যেতেন, নির্মাতারা যাদের নিয়ে কাজ করার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে থাকতেন তাদের প্রায় সবার হাতেই উল্লেখ করার মতো ছবি নেই। এদের মধ্যে একজন হচ্ছে মাহিয়া মাহি যিনি ধারাবাহিক ভাবে সাফল্য পেলেও এখন তার হাতে ছবি মাত্র ১টি। ছবির নাম ‘অনেক দামে কেনা’। পরিচালক জাকির হোসেন রাজু। মাহির আবিষ্কারক প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টি মিডিয়া নুসরাত ফারিয়া, জুলি নামে দুজন নতুন নায়িকা উপহার দেবার পাশাপাশি ‘তালাশ’ ছবির নায়িকা হিসেবে সময়ের আইটেম গার্ল বিপাশা কবিরকে তার জন্মদিনের উপহার দেয়ায় মাহিকে নিয়ে নতুন ছবি শুরুর কোন সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। তবে মাহি নিজেই প্রযোজক হিসেবে ‘স্নেহের বাঁধন’ নামে একটি ছবি শুরু করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এর বাইরে তার হাতে আর কোন ছবি নেই। আরেক আলোচিত নায়িকা ববির পর পর বেশ কিছু ছবির ব্যর্থতায় তাকে নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন নির্মাতারা। বদিউল আলম খোকনের ‘রাজাবাবু’ এবং ইফতেখার চৌধুরীর ‘মাল্টার’ বাইরে খুব একটা ছবি তার হাতে নেই। মাত্র ৪টি ছবি রয়েছে আরেক আলোচিত নায়িকা আঁচলের সঙ্গে। ছবিগুলো হচ্ছে- ‘এপার ওপার’, ‘সুলতানা বিবিয়ানা’, ‘আজব প্রেম’ এবং ‘মেন্টাল’। এদের তুলনায় একটু বেশি সিনিয়র এবং প্রতিষ্ঠিত নায়িকা অপু বিশ্বাসের হাতেও খুব বেশি ছবি নেই। বদিউল আলম খোকনের ‘রাজা বাবু’ এবং মোস্তফা কামাল রাজের ‘সম্রাট দ্য কিং ইজ হেয়ার’ ছাড়া উল্লেখ করার মতো ছবি নেই। অবশ্য তিনি শাকিব খান ছাড়া অন্য কোন নায়কের সঙ্গে কাজ করেন না বলেই তার হাতে ছবি কম। অন্যান্য আলোচিত নায়িকাদের মধ্যে বিদ্যা সিনহা সাহা মিমের হাতে রয়েছে ‘ব্ল্যাক’ এবং ‘সুইট হার্ট’ নামে দুটি ছবি, জয়া আহসানের হাতে রয়েছে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী টু’ নামে একটি ছবি। এদের তুলনায় প্রিয়দর্শিনী তারকা মৌসুমীর হাতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি ছবি। বর্তমানে তিনি ৮টি ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত। ছবিগুলো হচ্ছে- ‘ভালোবাসবোই তো’, ‘মন জানে না মনের ঠিকানা’, ‘রাত্রীর যাত্রী’, ‘লিডার’, ‘আশিকি’, ‘বাবার স্বপ্ন’, ‘শূন্য হৃদয়’ এবং ‘সৌভাগ্য’। তারকা নায়িকাদের হাতে ছবির সংখ্যা কমে যাবার নানা কারণ শোনা গেলেও বর্তমানে ছবির প্রযোজক- পরিচালকেরা নতুন নতুন নায়িকা আবিষ্কারে ব্যস্ত। দর্শক গ্রহণ করবে কি করবে না- এমন চিন্তা-ভাবনা বাদ দিয়ে তারা নতুন নতুন নায়িকা আনছেন। সাফল্যের তুলনায় ব্যর্থতা বেশি হওয়া সত্ত্বেও নতুন নতুন নায়িকা আসছেনও। এদের মধ্য থেকে যদি কেউ বড় রকমের সাফল্য লাভ করতে পারেন তাহলে চলচ্চিত্রের গতিটা বাড়বে। তা না হলে বর্তমান ডিজিটাল যুগে চলচ্চিত্র নিয়ে যে আশাবাদের জন্ম নিচ্ছে তা হতাশায় পরিণত হতে সময় লাগবে না বলে চলচ্চিত্র বোদ্ধারা আশঙ্কা করছেন।