ধর্ষণের পরে নারীকে হত্যা, দেখে ফেলায় ছেলেকেও খুন: তিনজনের দণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০০:০৫,অপরাহ্ন ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ২২৯ বার পঠিত
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সাহায্যপ্রার্থী অজ্ঞাত মা-ছেলে হত্যা মামলায় দুই জনের ফাঁসি ও একজনের সাত বৎসর কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিয়াজী শহিদুল আলম চৌধুরী এ আদেশ দেন। মৃত্যুদ- প্রাপ্তরা হলো আবুল কাশেম (৫৮) ও দুলাল হোসেন (৫৫)। সাত বছরের দ-প্রাপ্তের নাম বাবুল হোসেন (৩৫)। রায় ঘোষণার সময়ে বাবুল অনুপস্থিত এবং দুলাল ও আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন। তাদের বাড়ি আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন দড়িগাও এলাকায়।
আদালত সূত্রমতে, ২০১১ সালের ৫ই মার্চ আড়াইহাজারের দড়িগাও এলাকায় দরিদ্র অজ্ঞাত মহিলা তার শিশু ছেলেকে নিয়ে আর্থিক সহায়তার জন্য যায়। সেখানে অজ্ঞাত মহিলাকে আর্থিক সহায়তার কথা বলে স্থানীয় কাশেম ও বাবুল শ্মশান ঘাটে দুলালের প্রজেক্টে নিয়ে ধর্ষণ করে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাশরোধে হত্যা করে । এসময় প্রজেক্ট ম্যানেজার দুলাল উপস্থিত হয় এবং খুনের বিষয়টি জানতে পারে । খুনের ঘটনায় ভয় পেয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার দুলাল কোদাল দিয়ে মহিলার শিশু ছেলেকে হত্যা করে। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তিনজনে মিলে লাশ দুটি পুরাতন কবরস্থানে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। পরে এলাকাবাসী লাশ দুটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ বাবুলকে গ্রেপ্তার করলে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেয়। এ মামলায় পুলিশ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দেয়। আদালত ১০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে ৩ জনের মধ্যে আবুল কাশেম ও দুলাল হোসেনকে ফাঁসি ও বাবুল হেসেনকে সাত বৎসর কারাদ- প্রদান করেন। একই সঙ্গে দ-প্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদ-ের আদেশ দেন।