জমি দখল করতে গিয়ে ছাত্রলীগের ৮ জন গ্রেপ্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪৮:২০,অপরাহ্ন ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ৩০১ বার পঠিত
রাজধানীর শ্যামলীতে অবৈধভাবে জমি দখল করতে গেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৮ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আটক করেছে আদবর থানা পুলিশ। গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান আদাবর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনছুর হোসেন মানিক । তাদের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলার নম্বর-১৯। এ মামলার বাদী তরিফুল নামে এক ব্যক্তি। মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর আদাবরের আমান হাউজিং এলাকার ১০ নম্বর রোডের ৭১২/২২/১২ নং জমি দখল করতে গেলে এসব ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম জুয়েল (জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, ৪১তম ব্যাচ), বনি আলম (ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ, ৪১তম ব্যাচ), রবিউল ইসলাম (নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা বিভাগ, ৪২তম ব্যাচ), জুবায়ের রহমান (গণিত বিভাগ, ৪২তম ব্যাচ), অনিক সাহা (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ, ৪২তম ব্যাচ), সৈয়দ লায়েব আলী (দর্শন বিভাগ, ৪৩তম ব্যাচ), মিনহাজুল আবেদিন (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ, ৪৩তম ব্যাচ) ও অলিউন নবী অলিভ (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ, ৪৩তম ব্যাচ)। আটক অন্য তিনজন হলেন- নাজনিন, সোহেল ও মো. সুমন। তাদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসের মো পাভেলের ছোট বোন এ্যাভোকেট খুকি’র পক্ষে অবৈধ জমি দখল করতে যায় জাবি শাখা ছাত্রলীগের প্রায় ১২-১৫ জন নেতাকর্মী। এ সময় পুলিশ তাদের মধ্যে ৮ জনকে আটক করে, বাকীরা সবাই পালিয়ে যায়। আটককৃতরা সবাই মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং তারা সবাই শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল ও সাহিত্য সম্পাদক সানোয়ার হোসেনের অনুসারী। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল জানান, এ রকম কোনো ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি, ‘যদি এ রকম কোনো ঘটনায় কোনো শিক্ষার্থী জড়িত থাকে তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিচার দাবি করছি। এছাড়া ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ধরনের ছাড় করা হবে না।’ এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগতি নয়।