স্বামী চুমু দিতে বলায় অগ্নিশর্মা স্ত্রীর লঙ্কাকাণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৫৩:১৭,অপরাহ্ন ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ২৫৮ বার পঠিত
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে রোম্যান্টিক স্বামী মহাশয় একটি চুমু দিতে বলেছিলেন স্ত্রীকে। কিন্তু, বেরসিক স্ত্রী অগ্নিশর্মা হয়ে স্বামীকে সোজা হাসপাতালে পাঠালেন। কারণ, মদ্যপ অবস্থায় তিনি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না। ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডের শহর পোর্টসমাউথে। স্থানীয় একটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে ঘটনাটি। অনলাইনে ২৬ বছর বয়সী তরুণী ক্যাথরিন বোর্থউয়িকের সঙ্গে তার ৫৯ বছর বয়সী স্বামী মন্টি বোর্থউয়িকের পরিচয় হয়েছিল। ঘুমানোর আগে মদ্যপ ছিলেন উভয়ই। শোবার ঘরে স্বামী যখন তার শার্ট খুলে বললেন, আমার গুডনাইট কিসের (রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চুমু) কি হলো? আদালতে আইনজীবী টিম দ্রাকাস জানান, এ সময় স্ত্রী ক্যাথরিন হাতে একটি অ্যালার্ম ঘড়ি নিয়ে স্বামীকে আঘাত করতে শুরু করেন। এতে ঘড়িটিই ভেঙে যায়। এবার মদ্যপ ওই স্ত্রী তার স্বামীর মোবাইল সেটটি নিয়ে তার মাথায় আঘাত করতে শুরু করেন। আদালতের শুনানি অনুযায়ী, মাথা দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়তে থাকলে, মন্টি তার স্ত্রীর কাছে ‘দয়া করো, দয়া করো’ বলে অনুনয় করতে থাকেন। ক্রুদ্ধ স্ত্রী তখন গালিগালাজ করতে থাকেন এবং তাদের বাড়ি থেকে স্বামীর সিডিগুলো ছুঁড়ে ফেলে দেন। ঘটনার দিন গত ১৮ই এপ্রিল স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে একটি অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায়। মাথায় দুটি কাটা বা গভীর ক্ষতসহ হাসপাতালে ভর্তি হন টমি বোর্থউয়িক। গত বছর ফিলিপাইন থেকে বৃটেনে পৌঁছান ক্যাথরিন। তিনি স্বামীর ওপর শারীরিকভাবে আঘাত করার কথা স্বীকার করেন। শুনানির পর আদালত তাকে ১২ মাস বা ১ বছরের দ- দেয়। তবে তাকে জেলে আটকে রাখা হবে না। বরং, কমিউনিটি অর্ডারের আওতায় প্রশাসনকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করতে হবে এবং এ সময় তার সংশোধন প্রক্রিয়াও চলবে। অবশ্য, স্বামী মন্টি চাননি স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হোক। মদ্যপ অবস্থায় এর আগেও ওই নারী এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন। অগত্যা, সংশোধন ছাড়া কোন বিকল্প পথও খোলা ছিল না। পোর্টসমাউথ ক্রাউন আদালতের শুনানিতে বলা হয়েছে, ওই নারী মদপান ছেড়ে দিয়েছেন এবং এ দম্পতি ‘দুঃস্বপ্নময়’ রাতটি ভুলে যেতে চান। বিচারক রজার হেথেরিংটন স্ত্রী ক্যাথরিনের উদ্দেশে বলেন, কোন কারণে আপনার হাতের কাছে যা পেয়েছিলেন, তা দিয়েই আপনি আপনার স্বামীর মাথায় আঘাত করেছিলেন, যা কিছুটা রহস্যময়।