জিএসপি না পেলে টিকফা অর্থবহ হবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৪:৪৬,অপরাহ্ন ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ৩৯০ বার পঠিত
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি (শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা) না পাওয়া যায় তাহলে টিকফা (বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি) যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে তা অর্থবহ হবে না।’
বুধবার সচিবালয়ে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তরের (ইউএসটিআর) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জিএসপি পুনর্বহালের জন্য সব শর্ত পূরণ করেছি। এর বাইরে আর কিছু করা সম্ভব নয়। এখন তাদের উপর নির্ভর করছে, তারা জিএসপি দেবে কি দেবে না।’
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘জিএসপি ফিরে পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে ১৬টি শর্ত দিয়েছিল, তার সব পূরণ করেছি। তারা বলেছে—আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। তারা চট্টগ্রাম ইপিজেড (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা) পরিদর্শন করেছে। সেখানে বিভিন্ন শ্রমিকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের পরিষ্কার বলে দিয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে যা করা হয়েছে, এর বাইরে কিছু করা সম্ভব নয়। তারা জানিয়েছে—আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টিকফা বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা করা হবে।’ এ সময় জিএসপি ফিরে পেতে নতুন কোনো শর্ত দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
এ দিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে—মন্ত্রী জিএসপি ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে ১৬টি শর্ত পূরণের বিষয় ও বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের শ্রম অধিকার রক্ষায় অগ্রগতির বিষয়টি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, নতুন শ্রম আইন ও এর বিধি প্রণয়ন, ইপিজেড এলাকায় শ্রমিকদের জন্য ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন করা, অন্যান্য এলাকার শ্রমিকদের যথাযথ আবেদনের ভিত্তিতে ট্রেড ইউনিয়নের অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
ইউএসটিআরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী মাইকেল জে ডিলানির নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী ৩ হাজার ৬৮৫টি গার্মেন্টস কারখানা মধ্যে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স এবং সরকারের উদ্যোগে ৩ হাজার ৪০৭টি কারাখানা পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৪টি কারখানায় সমস্যা ছিল। সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারখানাগুলোতে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সেফটি ডোর শুল্কমুক্ত আমদানির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এখন নিরাপদ পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছেন। এখন আর অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্সের কারখানা পরিদর্শনের প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতকে জিএসপি-সুবিধা দিত না। প্লাস্টিক, টোবাকো, সিরামিক, টেবিল ওয়্যারের মতো কিছু আইটেমের উপর জিএসপি সুবিধা পেতো বাংলাদেশ। যার পরিমাণ বছরে ২৩ মিলিয়ন ডলার। এটি সেখানে মোট রপ্তানির এক শতাংশেরও কম। এতে বাংলাদেশের তেমন আর্থিক ক্ষতি না হলেও এর মাধ্যমে ইমেজ সংকট সৃষ্টি হয়েছে।