বেশি দামে চামড়া কেনায় বিপাকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা: পাচারের শঙ্কা
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৬:৪০,অপরাহ্ন ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | সংবাদটি ৪০৬ বার পঠিত
কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনায় ব্যস্ত পাইকারি আড়ৎগুলো। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। এদিকে, সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, সংগ্রহকৃত চামড়ায় লবণ দিয়ে মজুদ করছেন শ্রমিকরা।অনেক আড়তে চামড়ার সংগ্রহ কম থাকায় অলস দিন কাটাচ্ছে শ্রমিকরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারিগুলো যদি সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে চামড়া না কিনে তবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তাদের। এছাড়া এবার কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনায় রাজনৈতিক সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। রাজধানী থেকে শুরু করে এ সিন্ডিকেট সারা দেশে বিভিন্ন এলাকায় চামড়া বেচাকেনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, চামড়া বেচাকেনায় রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরাও কাজ করছেন। এরমধ্যে আওয়ামী যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বিএনপি ও অন্যান্য দলের নেতারাও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চামড়া বেচাকেনার সিন্ডিকেট এ কাজ করছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে যাওয়ার অজুহাত তুলে ট্যানারি মালিকরা গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ৩০ শতাংশ কম করে চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছেন। তাদের ঘোষণা করা মূল্য অনুসারে ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০-৫৫ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০-৪৫ টাকা, খাসির চামড়া ২০-২২ টাকা এবং বকরির চামড়া কেনা হয় ১৫-১৭ টাকায়। এ অবস্থায় মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা চামড়ার বেশি দাম পেতে চোরাচালানের দিকে ঝুঁকবেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চামড়া পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে আছে বলে দাবি করেছে। কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য ঘোষণা করতে চামড়া ব্যবসায়ীদের তিনটি সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ), বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএইচএসএমএ) ও বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার,লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্সঅ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইএ) এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। বিএফএলএলএফই’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এম আবু তাহের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কম থাকা ও কর বৃদ্ধির কারণে এবার চামড়ার দাম কমানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতি পাউন্ড চামড়ার দাম ছিল ১০৬.০৬ সেন্ট, বর্তমানে তা ৭১ সেন্ট। নতুন শিল্পনগরীতে চামড়া কারখানা স্থানান্তরে বিপুল বিনিয়োগ, কমপ্লায়েন্ট কারখানা গড়ে তোলার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক চাপ, রফতানি বাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের মূল্য হ্রাসের কারণে চামড়ার দাম কমানো ছাড়া উপায় নেই বলে তিনি মত দেন। দেশে বর্তমানে ৫০০-৬০০ কোটি টাকার চামড়া মজুদ থাকলেও ঈদে প্রায় ৬৫ লাখ গরু ও ৩৫ লাখ ছাগলের চামড়া সংগ্রহের প্রত্যাশার কথা জানান ব্যবসায়ীরা। সংবাদ সম্মেলনে বিটিএ সভাপতি শাহীন আহমেদ, বিএইচএসএমএ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গত বছর ট্যানারি ব্যবসায়ীরা রাজধানীতে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছিলেন ৭০-৭৫ টাকা।
ঢাকার বাইরে এই দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। সে সময় প্রতি বর্গফুট খাসির লবণযুক্ত চামড়া ৩০-৩৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ২৫-৩০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগের বছর ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল আরো বেশি। সে মোতাবেক প্রতিবছরই চামড়ার দাম কমে যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। দেশের ভেতরে চামড়ার পড়তি দাম ও দীর্ঘদিন পুঁজি আটকে থাকায় মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা চামড়া পাচারে যুক্ত হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এমনকি ভারত থেকে আনা গরুর বিনিময় মূল্য হিসেবে অনেকেই চোরাচালানের মাধ্যমে চামড়া পাঠানোর উদ্যোগ ইতিমধ্যে নিয়ে রেখেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। চামড়া বেচাকেনা সিন্ডিকেটের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন, এবার চামড়ার দাম আগের বছরের চেয়ে কম। তাই তারা লাখ লাখ টাকা এ খাতে বিনিয়োগ করেছেন। আগের বছরও চামড়া কিনে ভালো লাভ হয়েছে। সেই থেকে উৎসাহ পেয়েই এবার চামড়া কিনছেন। চামড়া সংগ্রহ করার জন্য কিছু নিজ দলের কর্মীদের কাজে লাগিয়েছেন তারা। এসব কর্মীরাও লাভের ভাগ পাবেন বলে জানান তারা।সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি এলাকায় পাড়ায় পাড়ায় আওয়ামী যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা চামড়া কিনছেন। আর তাদের অর্থের যোগান দিয়েছেন দলীয় থানা ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা। শুক্রবার কোরবানির পর মুহূর্তে মহল্লায় নেমে পড়ছেন তারা এবং দাম কষাকষি করে তাদেরকে চামড়া সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। আর তাদের জন্য অন্য কোনো ব্যবসায়ী পাড়া মহল্লা থেকে চামড়া কেনার সাহস করতে পারছে না।রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা যুবলীগের একজন সক্রিয়কর্মী ক বলেন, ‘আমরা কয়েকদিন ধরেই কোরবানির পশুর চামড়া পাওয়ার জন্য প্রতিটি মহল্লায় লোকজন ঠিক করে রেখেছি। প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটি থেকে চার থেকে পাঁচ জনকর্মীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা যাতে তাদের আশে পাশে যারা কোরবানি দিয়েছে তাদের নিকট থেকে চামড়া কিনে নেয়।’ এসব চামড়া সংগ্রহ করে পাইকারী ব্যবসায়িদের নিকট বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, শুধু যুবলীগের নেতারা নয়, এ ব্যবসায় জড়িত রয়েছে মহানগর পর্যায়ের সেচ্চাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ ছাড়াও অন্যান্য দলের নেতারা।এ ব্যাপারে যাত্রাবাড়ী থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নূরু মিয়া জানান, যুবলীগের কর্মীরা মৌসুমী চামড়ার ব্যবসা করছে তাতো দোষের কিছু না। তারা তো আর চাদাবাজি করেনি।দনিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ওসমান গনি জানান, আমাদের মহল্লায় আমরা প্রতি কোরবানির সময় পশুর চামড়া কিনে থাকি। এগুলো কেনা বেচা করে কর্মীরা কিছুটা লাভবান হয়। ব্যবসা করাতো আর খারাপ কিছু না। শুধু আমরা নয়, এ ব্যবসা এক সময় আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুম্মন ভাই করতো। তিনি এখন সরাসরি এ ব্যবসা না করলেও তার কর্মীদের দিয়ে করাচ্ছেন। অথচ তিনি তো বিএনপির নেতা।এদিকে ঢাকার আশে পাশের জেলা নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জে খোজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকায় েেমৗসুমী ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ দলীয় নেতা কর্মী। তাদের কারণে অন্যান্য মৌসুমী ব্যবসায়ীরা আশানুরুপ চামড়া কিনতে পারেনি।নারায়ণগঞ্জের চামড়া ব্যবসায়ী সিদ্দিরগঞ্জ এলাকার আব্দুল আজিজ জানান, সকাল থেকে চামড়া কেনার জন্য সিদ্দিরগঞ্জসহ কয়েকটি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের নেতারা চামড়া বুকিং দিয়ে গেছে। ফলে তারা যেসব চামড়া বুকিং দিয়েছে সেগুলোতে আর কথা বলা যায়নি। এসব নেতাকর্মীরা বড় ধরনের গরুর চামড়া বুকিং দিয়েছে। দুপুরের পর থেকে কিছু ছোট ও মাঝারী মাপের চামড়া কিনেছি। যেখানে ২০০ চামড়া কিনতাম সেখানে কিনেছি মাত্র ৯০টি।
এদিকে নরসিংদী শহরের চামড়া ব্যবসায় হাজী বাছেদ আহমেদ জানান, শহরের বেশির ভাগ এলাকায় চামড়ার নিয়ন্ত্রণ ছাত্রলীগের হাতে। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া সংগ্রহ করে আমাদের নিকট বিক্রি করছে। অধিকাংশ চামড়া আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় করতে পারিনি।সংশ্লিষ্টরা বলেন, চামড়া ব্যবসার সিন্ডিকেট এক সময় আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের নেতা লেদার লিটন ছাড়াও কয়েকটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতো। এখন পাড়া মহল্লায়ও এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীরা।ফলে ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে মনে করছেন তারা। এ সম্পর্কে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএইচএসএমএ) এর সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, দেশের মৌসুমী ব্যবসায়ীরা শতকরা ৮০ ভাগ চামড়া কিনে। এবার আমাদের দাবি ছিল যাতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা চামড়া ক্রয় করতে পারে। যদি মৌসুমী ব্যবসায়ীদের নামে দলীয় নেতা-কর্মীরা চামড়া কিনে তাহলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে চামড়া পাচারের আশঙ্কা বাড়বে। এজন্য পশু কোরবানি কম হওয়ায় এবং চামড়ার মূল্য কম নির্ধারণ করাকে দায়ী করেছেন আড়তদাররা। এছাড়া মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অতিরিক্ত মূল্যে চামড়া কেনার কারণে লোকসানে পড়ার আশঙ্কাও করছেন তারা। এবার ঈদুল আযহায় চট্টগ্রামে কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল সাড়ে পাঁচ লাখ। এর মধ্যে গরুর চামড়া সাড়ে চার লাখ, ছাগল ৯০ হাজার এবং মহিষ দশ হাজার। কিন্তু শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ চামড়া সংগ্রহ করেছে আড়তদাররা। তবে আগামী দুই একদিন আরো কিছু চামড়া সংগ্রহ হতে পারে বলে জানিয়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. সেকান্দর বলেন, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত গরু, মহিষ ও ছাগল মিলে প্রায় সাড়ে তিন লাখ চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। গরুর দাম বেশি থাকায় এবং গরুর সংকটের কারণে অনেকে কোরবানি দেননি। আবার কয়েকজন মিলে কোরবানির পশু জবাই করেছে। তাই এবার পশুও কম কোরবানি হয়েছে। আগামী দুই একদিন আরো কিছু চামড়া সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি। আবার অনেক আড়তদার চামড়া পাচার হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন। শাহ আমানত আড়তের মালিক তৈয়ব সওদাগর বলেন, একটি চক্র মৌসুমী ব্যবসায়ীদের হাত করে চড়া মূল্যে চামড়া সংগ্রহ করেছে। এর ফলে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করে নিজেরাই লবণ দিয়ে মজুদ করছে। মজুদকৃত এসব চামড়া ভারতে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এ ব্যবসায়ী। এবার চামড়া ব্যবসায়ীদের তিন সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ হাইড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন লবণযুক্ত চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। ট্যানারি ব্যবসায়ীরা রাজধানীতে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া কিনবেন ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। ঢাকার বাইরে এ দাম হবে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।সারা দেশে খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকায় সংগ্রহ করা হবে। নগরীর আতুরার ডিপো এলাকার বিভিন্ন চামড়া আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত মূল্যে তারা চামড়া কিনতে পারেননি। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কারণে চড়া দামে চামড়া কিনতে হয়েছে। শ্রমিকদের খরচ, পরিবহনসহ বিভিন্ন খাত মিলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা। এছাড়া চট্টগ্রামে কোন ট্যানারি না থাকায় ঢাকার ব্যবসায়ীদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। ঢাকার ব্যবসায়ীরা অর্ধেক টাকা দিয়ে চামড়া সংগ্রহ করে। বাকি টাকা সংগ্রহে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
নূরে মদিনা লেদারের মালিক শরিফুল মুনির বলেন, চট্টগ্রামে এবার কোরবানির পশু কম জবাই হয়েছে। ভারতীয় গরু কম আসায় বড় চামড়ার সংগ্রহ কম। এছাড়া মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চামড়া কিনায় আমাদেরকেও বেশি দামে চামড়া কিনতে হয়েছে। ১২ শ থেকে প্রায় দুই হাজার ২০০ টাকা দামে চামড়া কিনতে হয়েছে। যেগুলো সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়া চামড়ার সংখ্যাও কম। এখন ট্যানারি মালিকদের দিকে তাকিয়ে আছি। গত বছর ১০ হাজার চামড়া সংগ্রহ করলেও এবার ওয়াসিম ট্রের্ডাস সংগ্রহ করেছেন মাত্র সাত হাজার। চামড়ার সাইজও বড় নয়। আড়তদার মো. ওয়াসিম বলেন, গত বছর এ সময়ে চামড়া সংগ্রহের ব্যস্ততা ছিল লক্ষণীয়। কিন্তু এ বছর শ্রমিকরা অলস দিন কাটাচ্ছে।সংগ্রহকৃত চামড়াগুলোর গড় দাম প্রায় ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা পড়েছে বলে জানান তিনি।