‘সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিকে বিরোধীদের দমনে ব্যবহার করতে চায় ক্ষমতাসীনরা’
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪৫:১৬,অপরাহ্ন ২৭ অক্টোবর ২০১৫ | সংবাদটি ২৮৩ বার পঠিত
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীলদের জন্য বাংলাদেশে সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বেসরকারি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান-স্ট্র্যাটফোর। প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বছর ধরে চলা রাজনৈতিক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার পর, বাংলাদেশ এবার নিজস্ব জঙ্গিবাদের সঙ্গে লড়াই করছে। বিরোধী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও তাদের ইসলামী শরিকদের রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে ঢাকার মনোযোগ দেশটির প্রলম্বিত রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে সৃষ্ট উগ্রপন্থার দিকে সরে গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী জামায়াত-ই-ইসলামীর মতো গোষ্ঠীসমূহকে টার্গেট করছে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিকে নিজ অবস্থান শক্তিশালী করতে ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনে ব্যবহার করতে চায় শাসকদল আওয়ামী লীগ। সুতরাং, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী সহায়তা ও রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য সরকার নয়াদিল্লির সমর্থন কামনা অব্যাহত রাখবে। তীব্রমাত্রার সহিংসতায়ও ঢাকা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সুতরাং, জঙ্গি হামলার দরুন সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া অথবা বছরের এ চতুর্ভাগে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কার্যকরভাবে ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে যদি জঙ্গিরা সফলভাবে পশ্চিমা রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। সে জন্যই ঢাকা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বাণিজ্যকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করছে। দেশকে স্থিতিশীল করতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় দেশের তৃতীয় শক্তির পুনঃঅন্তর্ভূক্তির জন্য যথেষ্ট বড় কারণ হতে পারে দেশে জঙ্গি হামলা বৃদ্ধি ও চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা।
স্ট্র্যাটফোর এ পূর্বাভাষে দক্ষিণ এশিয়া অংশে ভারতের ভূমিকা আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গি কর্মকা- বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে উদ্বেগের ফলে চলমান নিরাপত্তা সহযোগিতাকে জোরদার করবে। কিন্তু বাংলাদেশ ও পাকিস্তান-আফগানিস্তান অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান জঙ্গিবাদ এবং নেপালে সংবিধান নিয়ে বিরোধ থেকে সংঘর্ষ শুরুর ঝুঁকি থাকায় সন্ত্রাসবাদের বর্ধিত শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত নিজের সীমান্তসংশ্লিষ্ট এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করবে।