ব্রেক্সিট আলোচনা শুরুর সময় ইউরোপ সফর করবেন লন্ডনের মেয়র
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫৪:৪৭,অপরাহ্ন ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | সংবাদটি ৫৩০ বার পঠিত
ব্রেক্সিট আলোচনা শুরুর সময় ইউরোপ সফর করবেন লন্ডনের মেয়র
অদিতি খান্না, যুক্তরাজ্য
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ইউরোপ সফরের ঘোষণা দিয়েছেন। মার্চ মাসের শেষের দিকে যখন যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে তখন ইউরোপ সফর করবেন সাদিক খান। বৃহস্পতিবার তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
সাদিক খান ইউরোপের ৫টি প্রধান শহর সফর করবেন। এর মধ্যে রয়েছে জার্মানির বার্লিন, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, ফ্রান্সের প্যারিস, স্পেনের মাদ্রিদ ও পোল্যান্ডের ওয়ারশো। ছয় দিনে এ পাঁচটি শহর সফর করবেন তিনি। তার সফরের মূল স্লোগান থাকবে বাণিজ্যের জন্য ‘লন্ডন উন্মুক্ত’।
ইউরোপ সফরের ঘোষণা দিয়ে সাদিক খান বলেন, ‘আমি ইউরোপকে সরাসরি একটি বার্তা দিতে চাই। আর তা হচ্ছে, লন্ডন সব সময় আমাদের ইউরোপের বন্ধুদের সঙ্গে ব্যবসার জন্য আকর্ষণীয় ও বাণিজ্যিক থাকবে। ব্রেক্সিটের পরও এই মহাদেশের আমাদের সম্পর্ক অন্য যেকোনও সময়ের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। পারষ্পরিক স্বার্থের জন্য আমাদের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আমরা কাজ অব্যাহত রাখব।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে জানিয়েছেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মার্চের শেষের দিকে লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা অনুসরণ শুরু করবেন। এর মধ্য দিয়ে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার দুই বছরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরই মধ্যে বুধবার রাতে ব্রিটিশ সংসদে ব্রেক্সিট বিল অনুমোদিত হয়েছে। এখন বিলটি আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য হাউস অব লর্ডসে পাঠানো হবে।
লন্ডনের উপ-মেয়র (বাণিজ্য) রাজেশ আগারওয়াল বলেন, ‘মার্চের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী ৫০ ধারা অনুসরণ করবেন বিধায় এই সফর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় সবাইকে বুঝানো প্রয়োজন যে লন্ডন আগের মতোই উন্মুক্ত থাকবে। তা শুধু যে বাণিজ্যের জন্য তা নয়, নতুন নতুন ধারণার জন্যও। আমরা তুলে ধরব যে, ইইউ ও আমাদের স্বার্থের জন্য এটা ভালো। ’
সাদিক খানের এই বাণিজ্যিক মিশন মেয়র’স ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস প্রোগ্রামের আওতায় হচ্ছে। লন্ডনভিত্তিক কোম্পানিগুলোর প্রবৃদ্ধি ও রফতানির সুযোগ বৃদ্ধির জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ব্রেক্সিট আলোচনা শুরুর পর লন্ডনের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া লন্ডন ও ইউরোপকে সন্ত্রাসী হামলার হাত থেকে রক্ষার বিষয়টিও অন্তর্ভূক্ত থাকতে পারে।