খালেদা জিয়া কারাগারে গেলে দলের দায়িত্ব দিতে পাঁচ নেতার নাম সুপারিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১১:৪৬,অপরাহ্ন ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | সংবাদটি ৫৪৭৯ বার পঠিত
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে গেলে তার অবর্তমানে পাঁচ নেতাকে দায়িত্ব দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। যাদের নাম সুপারিশ করা হয়েছে, তাদের সবাইকে আপদকালীন কমিটিতে রাখা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবেন বেগম জিয়া।
বেগম জিয়ার বিশ্বস্ত কয়েকজন বুদ্ধিজীবী এবং দলীয় থিংকট্যাংক হিসেবে পরিচিতরা গত কয়েকদিন ধারাবাহিক বৈঠক করে নামগুলো চূড়ান্ত করেছেন বলে জানা গেছে। শনিবার জাতীয় দৈনিক ‘আমাদের সময়’এর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন তার ঘনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবী ও থিংকট্যাংকে তার অবর্তমানে কারা দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাদের তালিকা দিতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন বৈঠক করে ৫ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
যাদের নাম সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর। তবে মির্জা ফখরুল ইসলামের অনুপস্থিতি বা অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিজভী আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো এত সহজ হবে না। তাকে কারাগারে পাঠাতে হলে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে নিতে হবে।
জিয়া অরফানেজ এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কয়েক মাসের মধ্যে খালেদা জিয়ার সাজা হতে পারে বলে ধারণা আইনজীবী ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের। এর ফলে কয়েকদিন তাকে কারাগার এমনকি ‘সাময়িক’ রাজনীতি থেকেও দূরে থাকতে হতে পারে।
সে সময় বিএনপি কার নেতৃত্বে চলবে তা নিয়ে দলের ওপরের মহলে এখন আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি সমর্থক এক বুদ্ধিজীবীর বাসায় দলের কয়েক নেতা ও থিংকট্যাংকের সদস্যরা বৈঠক করেছেন।
বুধবার বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, আপদকালীন কারা নেতৃত্বে আসতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বেগম জিয়াও চিন্তা করছেন। আমরাও আলোচনা করছি। নেতৃত্বে কারা থাকবেন তা ঠিক হচ্ছে। তবে নেতৃত্বের শূন্যতা সৃষ্টি হবে না এটা নিশ্চিত। এত বড় দলে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্য লোকের অভাব হবে না।
দলের এক নেতা বলেন, বেগম জিয়ার ধারণা, তার দলকে বিভক্ত করতে কয়েকজন নেতা সরকারের সঙ্গে আঁতাত করছেন। এদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির দুই নেতাকে সন্দেহের চোখে দেখছেন তিনি। কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। কয়েকজনের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনাও করবেন। যাদের ওপর বেগম জিয়া আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পারবেন, তাদের দায়িত্ব দেবেন তিনি। সেক্ষেত্রে পাঁচজনের তালিকা পরিবর্তন হতে পারে।