সিলেটসহ বাংলাদেশের চার শহরে শিক্ষামেলা করবে মালয়েশিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪৫:১২,অপরাহ্ন ১২ মার্চ ২০১৯ | সংবাদটি ৪৫৭ বার পঠিত
নিউজ ডেস্ক:: বাংলাদেশের চার শহরে শিক্ষামেলা করবে মালয়েশিয়ার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯ ও ২০ মার্চ সিলেটের রোজ ভিউ হোটেলে এ মেলার আয়োজন করা হবে।শিক্ষামেলা আয়োজনকারী মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া, ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়া, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি পেট্রোনাস এবং ইউনিভার্সিটি সেলাংগর।
শিক্ষামেলা উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে কুয়ালালামপুরে ইউটিএম এর হলরুমে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেলা কমিটির পক্ষে মো. রাকিব মিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
রাকিব মিয়া বলেন, “সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের কথা চিন্তা করে আমরা এবারে বাংলাদেশের ৪টি স্থানে শিক্ষামেলা করতে যাচ্ছি। আগামী ১৪ ও ১৫ মার্চ চট্টগ্রামের হোটেল পেনিনসুলায়, ১৬ ও ১৭ মার্চ রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাসে, ১৯ ও ২০ মার্চ সিলেটের রোজ ভিউ হোটেলে এবং ২২ ও ২৩ মার্চে ঢাকার হোটেল সারিনায় শিক্ষামেলা অনুষ্ঠিত হবে।”
তিনি বলেন, “বর্তমান সময়ে উচ্চশিক্ষার চাহিদা ও কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। একটি বিদেশি ডিগ্রি অনেকের জীবনে স্বপ্ন। কিন্তু অর্থনৈতিক সমস্যা, তথ্য পাওয়া এবং সঠিকভাবে অ্যাপ্লিকেশন করতে না পারার অপারগতায় অনেকেরই স্বপ্ন পূরণ হয় না।আমাদের এই মেলার মূল উদ্দেশ্য সেই সব ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা।”
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়তে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “প্রথমত, মালশিয়ার শিক্ষা খরচ অনেকাংশেই কম। আর এই খরচ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের দেশের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর খরচের সমান। তাই আমি মনে করি একজন ছাত্র তার সমান খরচে অবশ্যই একটি বিশ্ব র্যাংকিংয়ে এ ভাল একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিতে চাইবে।”
“অনেকে বিদেশে যাওয়াটাকে অনেক দূরে চলে যাওয়া মনে করেন। কিন্তু মালশিয়া থেকে বাংলাদেশ আসতে সময় লাগে মাত্র চার ঘন্টা। তাই এই দূরত্ব আমি মনে করি কারো পরিবারের কাছেই খুব বেশি মনে হবার কথা না। বাইরের দেশে পড়তে গেলে ভিন্ন কালচার আর খাবারের সমস্যা হয়। মালয়েশিয়া মুসলিম দেশ হওয়ায় তাদের কালচার আমাদের মতোই। আর ওখানকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রচুর বাঙালি পড়াশোনা করায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও রয়েছে বাঙালি খাবারের ক্যান্টিন। তাই খাবারদাবার নিয়ে কারও কোনও সমস্যা হয় না।”
তিনি জানান, মার্চে অনুষ্ঠিতব্য মেলায় অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুত সম্পন্ন করা। এছাড়া মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে সরাসরি ‘অফার লেটার’ দেওয়া এবং মেলায় এসে শিক্ষার্থীরা কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন করতে চাইলে বিনা পয়সায় আবেদনের সুযোগ পাবে।