সংহতি জানাতে বিএনপি কার্যালয়ে কর্নেল অলি
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪২:৩১,অপরাহ্ন ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | সংবাদটি ৭৬ বার পঠিত
ঢাকা: আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে চায় বিএনপি কার্যালয়ে আসেন কর্নেল অলি। বিএনপির একসময়ের ডাকসাইটে নেতা কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। বিএনপি সরকার গঠন করলে একাধিকবার মন্ত্রীও হয়েছিলেন।
কিন্তু ২০০৬ সালে দল ছেড়ে যান এ প্রবীণ রাজনীতিক। এর পর আর বিএনপির কার্যালয়ের দিকে আসেন নি তিনি। পরবর্তীতে বিএনপি জোটের শরিক হলেও দলটির সঙ্গে মান-অভিমানের পুরোপুরি নিরসন হয়নি এখনো।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর আজ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন কর্নেল অলি। যেখানে একটা সময় নিয়মিত যাতায়াত ছিল জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ এ সহচরের।
আজ কার্যালয়ে এলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান তাকে স্বাগত জানান। তিনি কর্নেল অলিকে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি কার্যালয় ঘুরিয়ে দেখান।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টন কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিএনপির অভিযোগ— দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ও চেয়ারপারসনের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির কার্যালয় দেখতেই এদিন নয়াপল্টন আসেন অলি আহমেদ।
ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি কার্যালয় দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কর্নেল অলি। তিনি বিএনপি নেতাদের প্রতি সহমর্মিতা জানান।
কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেন, ‘একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনীও কোনো রাজনৈতিক অফিসে এমন বর্বরতা চালায়নি। কারও বাসায় চালায়নি। পুলিশ তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লুট করেছে।’
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল অলি বলেন, ‘বিএনপির বড় প্রাপ্তি— এ সরকারকে বিশ্বের কাছে উলঙ্গ করেছে। কারণ দুনিয়ার মানুষ জেনেছে যে, সরকারের মনুষ্যত্ব নেই। পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মিলে এই কাজ করেছে। তাদের মনে রাখতে হবে, অত্যাচার চালিয়ে কোনো স্বৈরশাসক টিকতে পারেনি।’
বিরোধী দল সরকারের পাতা ফাঁদে পা দেবে না উল্লেখ করে এলডিপির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এ সরকারকে বিদায় করার জন্য যা যা করা দরকার তাই করতে হবে। আইন মোতাবেক সব করা হবে। বিএনপিকে আরও শক্তিশালী হয়ে কর্মসূচি দিতে হবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
কর্নেল অলি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে আলাপ করে ১০ দফা ঘোষণা করেছি। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাব, আন্দোলন আরও জোরদার করতে হবে। সরকার পালানোর সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ৭ ডিসেম্বরের পর তারা সেই সুযোগ বন্ধ করে ফেলেছে। এখন জনগণ তাদের বিচার করবে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বন্দি নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান কর্নেল অলি