হোটেলে গোপন ক্যামেরায় পর্নোগ্রাফির শিকার কয়েকশ’ নারী
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫৬:৩৬,অপরাহ্ন ২১ মার্চ ২০১৯ | সংবাদটি ৫০৬ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: হোটেল রুমে অতিথিদের ব্যক্তিগত মুহূর্ত গোপনে ধারণ করে পরবর্তীতে সেই ফুটেজগুলো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে এমন ভয়াবহ ঘটনার শিকার হয়েছেন একজন কিংবা দু’জন নয়, হোটেলে থাকতে আসা অন্তত ১৬শ’ অতিথি। ছোট আকৃতির ক্যামেরাগুলো হোটেল কক্ষের টেলিভিশন, চুল শুকানোর হেয়ার ড্রায়ারের হাতল এবং প্লাগের সকেটে অভিনব কায়দায় বসানো হতো যেন খালি চোখে বোঝা না যায়। এমন ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
এসব ঘটনায় ইতোমধ্যে দেশটির পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছর পর্যন্ত জেল, সঙ্গে হাজার হাজার ডলার জরিমানা করা হতে পারে।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে দক্ষিণ কোরীয়ার পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতিকারীরা গত বছরের অগাস্ট মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার ১০টি শহরের অন্তত ৩০টি হোটেলে এই মিনি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করেছিল বলে তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে। ওই গোপন ক্যামেরাগুলো এক মিলিমিটার লেন্স ক্যামেরা হওয়ায় অতিথিদের কেউই টের পাননি যে তারা নিজেদের অজান্তেই শিকার হচ্ছেন পর্নোগ্রাফির।
দক্ষিণ কোরিয়াতে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও প্রচার করা অবৈধ। কিন্তু দেশটির দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধার কারণে গোপনে ক্যামেরায় এই দৃশ্য ধারণের হার ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হয়। অনেকে প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা প্রতিশোধের বশবর্তী হয়ে এসব ভিডিও ওয়েবসাইটে ছেড়ে দেয়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০১৭ সালে এইধরনের গোপন ভিডিও ধারণের ছয় হাজার অভিযোগ পুলিশের কাছে জমা পড়ে। এভাবে একের পর এক গোপন ভিডিও ধারণ এবং তা ফাঁস হওয়ার ঘটনায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর রাজধানী সিউল শহরে কয়েক দফা বিক্ষোভ হয় এবং আন্দোলনকারীরা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবার কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানান।