পর্তুগালের লিসবন শহীদ মিনারে প্রবাসীদের ঢল, কঠোর নিরাপত্তা।
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৭:১৯,অপরাহ্ন ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | সংবাদটি ১১৫২ বার পঠিত
পর্তুগালের লিসবন শহীদ মিনারে প্রবাসীদের ঢল, কঠোর নিরাপত্তা।
রনি মোহাম্মদ (লিসবন, পর্তুগাল)_ মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের ফুলের শ্রদ্ধা জানাতে পর্তুগালের লিসবনের স্থায়ী শহীদ মিনারে ঢল নেমেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীদের। পর্তুগালে একুশের দিনের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রুহুল আমিন সিদ্দিক।
পরে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন পর্তুগাল পররাষ্ট্র মনন্ত্রনালয় প্রতিনিধি, আরিয়ারো জয়ন্তা প্রেসিডেন্ট, লিসবন সিটি কপোঃ প্রতিনিধি সহ পর্তুগাল আওয়ামীলীগ, পর্তুগাল বিএনপি, বৃহত্তর নোয়খালী এসোসিয়েশন ইন পর্তুগাল, বৃহত্তর ফরিদপুর এসোসিয়েশন অফ পর্তুগাল, পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন , ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশী এসোসিয়েশন পর্তুগাল শাখা, বাংলাপিটি পাঠক ফোরাম, পর্তুগাল সাংবাদিক ফোরাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের শিশুরাও শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। একুশ সম্পর্কে ধারনা দেয়া এবং এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে অনেক মা-বাবা তাদের শিশু সন্তানদেরও নিয়ে আসেন শহীদ মিনারে।
শহীদ মিনারের প্রাঙ্গন রাষ্ট্রদূত শুভেচছা এক বক্তব্যে বলেন, একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ মানে প্রতিবাদ করা। একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন হয়েছিলো বলেই আজ আমরা বাংলায় কথা বলতে পারছি। এ জন্য প্রতিটি মুহূর্ত একুশের চেতনা ধারন করা উচিত আমাদের। তিনি একুশের চেতনায় উদ্ভাসিত হওয়ার জন্য সকল প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান। ধন্যবাদ জানান পর্তুগাল পররাষ্ট্র মনন্ত্রনালয়, আরিয়ারো জয়ন্তা, লিসবন সিটি কপোঃ কে লিসবনে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণে সহযোগিতা করার জন্য।
এদিকে একুশের অনুষ্ঠানমালাকে ঘিরে শহীদ মিনারের চার পাশে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে পর্তুগালের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।