স্বপ্নপুরীর দেশ বাংলাদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৩৬:৪২,অপরাহ্ন ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ৭৬৬ বার পঠিত
লাবন্য চৌধুরী ইটালী ( রোম) থেকে
“আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী”…প্রিয় পাঠক নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে এই গানটির কথা। এমন কোন মা নেই যে মা তার ছোট্ট সন্তান কে এই গান টি শোনান নি। সম্ভবত এই গানটি শোনা, শিখা ও বোঝার মধ্যে দিয়েই হয়তো সেই ছোট্ট শিশুর অন্তরে অনুভূত হয় দেশ ও দেশ প্রেম।
অথচ এই গানটি এখনও শুধু গানই হয়ে আছে। গানের মতোন দেশটি হয়নি। আর হবেই বা কিভাবে…? মায়ের কন্ঠের এই গানটি যদি সন্তান বড়ো হতে হতে ভুলে যায় তাহলে দেশটাকে স্বপ্নপুরী কে বানাবে? যে সন্তান এক সময় স্বপ্ন দেখে ডাক্তার হয়ে সেবা করবে, অথচ বড়ো হয়ে সে হয় বেশী ভিজিটের ডাক্তার। যে সন্তান হতে চেয়েছে মানুষ বানানোর কারিগর সে শিক্ষাকে কেজি দরে বিক্রি করে দেয়। আর যে সন্তান টি পাইলট হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে করতে চেয়েছিল সে তার সমস্ত মেধা ঐ প্রবাসে থেকে ভিন দেশীদেরই বিতরণ করছে।
কিন্তু যারা দেশে অবস্থান করে রাজনীতি, সমাজনীতি করছেন তারা কি স্বপ্নপুরীর এই বাংলাদেশকে কখনো স্বপ্নপুরী বানাতে চেয়েছিলেন নাকি শুধু ক্ষমতা কে ব্যবহার করে নিজেকে সম্পদশালী করাতেই মশগুল ছিলেন। যারা জন প্রতিনিধি হন তারা তো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন দেশের সেবা করার তবে কেন তাদের সম্পদ এক গুন থেকে বিশ গুন বেড়ে যায়। পুলিশ প্রশাসন প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে। অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে যেই কিডনি অপারেশন করে কেটে ফেলার কথা তা না করে যেটা ভালো ছিল তাকেই কেটে ফেলে অথবা মৃত বাচ্চা কে ই সি ইউ তে রেখে বিল বেশী করে, আবার সন্তানকে স্কুলে পড়াবেন এবার আসুন দশ লাখ টাকা নিয়ে। সব বাদ দিলাম মানুষ যে একমুঠো ভেজাল মুক্ত খাবার খাবে তাও এখন আলাদিনের চেরাগের মতোন দুর্লভ।
তার পরেও কথা থাকে এটাই আমার আর আমাদের দেশ। বড্ডো ভালবাসা এই দেশের সঙ্গে। বিশেষ করে প্রবাসীরা …..কর্ম ব্যস্ততা আর দেশে অবস্থানরত পরিবারের ছোট বড়ো আবদার পূরণের নাভিশ্বাস দৌড় থাকলেও দেশের প্রতিটি অংশের সঙ্গে প্রবাসীরা অতপ্রতো ভাবে জড়িত। বিশেষ করে এবার আমার দেখা ” জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচন” উপলক্ষ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন কার্যক্রম সেই সঙ্গে স্বপ্নপুরী এই দেশের জন্য একটা উদ্বিগ্ন। গত দুই সপ্তাহ জুড়ে ফেস বুকে পাতায় নির্বাচনকে নিয়ে তোলপাড় করা নিউজ হয়েছে। যা হয়তো বিগত কয়েক দশকের মধ্যে হয়নি। বিভিন্ন ঘটনার হয়েছে জন্ম। জন্ম নিয়েছে বিভিন্ন প্রশ্নের। এর উত্তর জানা যাবে ৩০ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ যখন থেকেই স্বাধীন হয়েছে তখন থেকেই যে সরকার ই ক্ষমতায় এসেছে তিনিই বলেছেন মানুষের মৌলিক অধিকার গুলো তারা সংরক্ষণ করেছেন। তারা কি জানেন না যে শুধুমাত্র পাঁচ টি মৌলিক চাহিদা দিয়েই কোন জীবের জীবন ধারণ হয়না। জীবন ধারণের অন্যতম উপাদান হলো “স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশ করা”। যা হয়তো এই স্বপ্নপুরীর বাংলাদেশে নেই। তারপরেও আমরা সেই স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করতে চাই। বাংলাদেশের সকল মানুষদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান থাকবে আপনারা ভোট দিন। যাকে খুশী তাকে দিন তবে যিনি” এখানে মিথ্যা কথা কেউ বলে না, এখানে অসৎ পথে কেউ চলে না” এমন একজন কে দিন। মায়ের গলায় সেই গানটিকে আসুন না সত্যি করি।