জনাব তারেক রহমান সাহেব আপনার গয়েশ্বর চন্দ্র এবং মির্জ্জা আব্বাস সাহেবকে সামলান।
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩৭:৪৩,অপরাহ্ন ১৭ নভেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ৮৯৫৫৬ বার পঠিত
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী
ঐক্যফ্রন্ট হওয়ার পর থেকেই ঢাকার রাজনীতিতে বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কি বিষয়? এবং কেন? বিএনপি বা এতই ছাড় দিচ্ছে কেন? ডঃ কামাল হোসেনই বা হঠাৎ করে বিএনপির সাথে ঐক্য করলেন কেন? উপরের প্রশ্ন গুলো এক বৃটিশ রাজনীতিবীদের। এ সব প্রশ্ন শুধু বৃটিশ রাজনীতিবীদের নয়, এ প্রশ্ন তাবৎ দুনিয়ার। এ প্রশ্ন আমারও। ২০০৮ সালের পর থেকে আওয়ামীলীগ এক তরফা আধিপত্য বিস্তার করে আসছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। বিএনপি সহ কোনো রাজনৈতিক দল মাথা খাড়া করতে পারছিলনা। অবশ্য কারণ আছে। বিএনপির বেশ কিছু ভূল রাজনীতি দলটিকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তা ছাড়া বিএনপির উপর ভর করে রাজনীতি করছিল জামাতে ইসলামী নামক স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী দলটি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ দলটি তাদের ভূল স্বীকার করে নিলে আজ এ দশা হতো-কি-না আমার সন্দেহ। এক সময় আওয়ামীলীগের সাথে মিলে মিশে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করেছিল জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ, এটি বেশী দিন আগের কথা নয়। আওয়ামীলীগ ভূলে গেলেও জাতী তো ভূলতে পারেনি এখনো। ভূলতে হলে কিছুটা সময় লাগে।
সে যাক, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই দেখেছি গত ৩০/৩৫ বছরে। তবে এত অধঃপতন আমি এর আগে কখনো দেখিনি। প্রতিহিংসার রাজনীতি দেশটাকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। কোনো শ্রেণী পেশার মানুষই এখন সত্য কথা বলতে চায়না, প্রতিবাদ করতে চায়না। একটি দেশের কবি, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি তাদের তো দল করার কথা নয়। কিন্তু তারাও দল করে, তারা কখনো আওয়ামীলীগ, কখনো বা বিএনপি করে। অবশ্য ওরা দল করেনা ওরা দালালী করে। ওরা এপার্টমেন্টের জন্য দালালী করে, ওরা একুশে পদকের জন্য দালালী করে, ওরা পত্রিকার ডিক্লারেশনের জন্য দালালী করে, ওরা টিভির লাইসেন্সের জন্য দালালী করে। ওরা ভাবে টিভি না থাকলে, পত্রিকা না থাকলে, এমপি মন্ত্রী না থাকলে তাদেরকে মানুষ তো দুরের কথা কুকুর বিড়ালও হ্যালো বলবেনা, সালাম আদাব দিবেনা। ওরা সালাম আদাবের জন্য নিজেরা সরকারের চামচামী করে, তোষামোদী করে। দেশ ও জাতী অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে গেলেও তাদের কিছুই যায় আসেনা। একটি দেশে সরকার এবং বিরোধী দল থাকবে সমানে সমান। আমরা বাংলাদেশকে বিদেশীদের দ্বারা পরিচালিত করতে পারবোনা, আমরা মঙ্গলগ্রহ থেকে লোক এনে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি বানাতে পারবোনা। বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে হলে বাংলাদেশের মানুষকেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাতে হবে, বিরোধীদলে বসাতে হবে। এসব ব্যাপার কি যারা রাজনীতি করেন তারা বুঝতে পারেননা? দেশের রাজনীতি ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর ক’দিন লেগেছে পরিবর্তন হতে? ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার আগে আওয়ামীলীগের নেতাদের কথা শুনলে মনে হতো দেশটা তাদের বাপ দাদার জমিদারী। এমন ভাষায় তারা কথা বলতেন যেন আগামী ৪০ বছর তারাই দেশ শাসন করবেন। সেদিন ইউটিবে এক মৌলানার ভাষণ শুনছিলাম, তিনি আল্লামা শফী হুজুরকে নিয়ে সমালোচনা করছেন, কওমী মাদ্রাসা নিয়েও কথা বলেছেন, তিনি বলেছেন এমএপাশ সার্টিফিকেট দিয়ে কি হরবা? (করবা) সচিবালয়ে বসতে পারবা? এক কলম ইংরেজী লিখতে পারবা? শেখ হাসিনাকে বললাম মা দিয়ে দে—-। সব ঠান্ডা করে দিলাম। শেখ হাসিনার ব্রেইন আর আমার ভাইয়ের (বঙ্গবন্ধু উনার ভাই) ব্রেইন সেইম সেইম। গোপালগঞ্জের মানুষের ব্রেইন আছে…..।
এই মৌলানার ভাষণ শুনে আমি স্তম্বিত। মোল্লা মুন্সীরা যদি প্রতিহিংসায় ভুগে তাহলে এ দেশ যাবে কোথায়? যারা রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ছাত্র, যারা বাংলা সাহিত্যের ছাত্র, যারা ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্র, যারা বিজ্ঞানের ছাত্র তাদের হয়তো পেটের মধ্যে হিংসা বদ থাকতে পারে! কিন্তু একজন মৌলানা? উনার তো থাকার কথা না। কারণ উনার পেটের ভিতরে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কালাম। উনার পেটের ভিতরে তো আল্লার কোরআন তিনি কেন শফি হুজুরকে নিয়ে সমালোচনা করবেন? তিনি কেন আল্লামা শফি সাহেবকে নিয়ে বাজে কথা বলবেন? বগল বাজাবেন? কারণ একই পেটে বদ হিংসা এবং আল্লার কালাম তো থাকতে পারেনা। হয় পবিত্র কোরাআন থাকবে নুতবা বদ হিংসা থাকবে।
সে যাক, প্রিয় তারেক রহমান সাহেব আপনাকে আজ লেখার কারণ হচ্ছে দু-একটি কথা বলা, অনুরোধ করা। কোনো এডভাইস না, কোনো জ্ঞান দিতে চাইনা। আমি জানি আপনার জ্ঞান অনেক বেশী। তা ছাড়া আপনার আশে পাশে যারা আছেন তারাই বা কম কিসের? আমার ধারনা গত ১০ বছরে আপনি রাজনীতিতে কোনো ভালো সিদ্ধান্ত যদি নিয়ে থাকেন তাহলে ঐক্যফ্রন্ট। কারণ ঐক্যফ্রন্ট হওয়ার পর থেকেই দেশের সব কিছুই ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। সরকারী দলের হিসেবও মিলছেনা। সুর অনেকটাই থেমে গেছে। কোনোভাবেই কারো হিসেব মিলছেনা। রাজনীতিতে হিসেব আসলেও অনেক সময় মিলেনা। যেমনি ভাবে সম্প্রতি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র হিসেবও মিলছেনা। শুনেছি ইউরোপের সাথে ব্রেক্সিট নিয়ে বড় ঝামেলায় পড়েছেন ভদ্র মহিলা। শুধু তিনি ঝামেলায় পড়েননি গোটা বৃটেনকে ঝামেলায় ফেলে দেয়া হয়েছে। পাবলিকেও অনেক সময় না বুঝে অনেক কিছু করে ফেলে। রেফারেন্ডামের সময় এমন কোনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না যারা ব্রেক্সিটের বিপক্ষে দাড়িয়েছিলেন, পাবলিককে বলেছেন বুঝিয়েছেন ইউরোপ থেকে সরে দাড়ানো ঠিক হবেনা। পাবলিক শুনেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের কথা! পাবলিক বলেছে দুর বেটা পলিটিশিয়ান বন্ধ কর তোদের বাকুস কথা বার্তা। এবার আমরা ইউরোপ থেকে বের হবেই। হয়েছে, লাভ কি? কোনো লাভ হয়নি। বরং এখন দেখা যাচ্ছে ক্ষতিই হয়ে যাবে বেশী। এখন ব্রেক্সিট মন্ত্রীরা শুধুই পদত্যাগ করছেন। এর আগে ডেভিড ডেভিস পদত্যাগ করলেন এখন শুনেছি ডমনিকও পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ তে সমাধান হতে পারেনা। ভালো ডিল যদি না আনতে পারেন ইউরোপের কাছ থেকে তাহলে কেন তারা ব্রেক্সিটে গেলেন? সেটি অন্য প্রসঙ্গ।
প্রিয় তারেক রহমান সাহেব, আপনার মাধ্যমে আপনার দলের মহাসচিবকে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে একটা ধন্যবাদ দিতে চাই কারণ তিনি যে অসাধ্য সাধন করেছেন, ঐক্যফ্রন্ট করে তিনি আপনাদের দলের রাজনীতি রক্ষা করেছেন। নতুবা বহিঃবিশ্বে আপনার দলের যে দুর্নাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেটি কাটিয়ে উঠা অনেকটা মশকিল হয়ে পড়েছিল। শুধু বহিঃবিশ্বে নয়, দেশেই তো আপনারা মাথা খাড়া করতে পারছিলেননা। আওয়ামীলীগ যেভাবে আপনার দলকে সাইজ করে করে অগ্রসর হচ্ছিল এক সময় আপনাদের দল মুসলিমলীগের মত হয়ে উঠতো কি-না কে জানে? ডঃ কামাল হোসেন সাহেব আপনাদের সাথে ঐক্য করে এ যাত্রা বাঁচিয়ে দিলেন। আপনার দলের নেতা যারা বিশেষ করে মির্জ্জা আব্বাস সাহেব, রুহুল কবীর রিজবী সাহেব, গয়েশ্বর চন্দ্র সাহেব সহ অনেকেই নাকি নির্বাচন ও ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে। তাদেরকে সবিনয়ে বলি তারা আমার থেকে অনেক জ্ঞানী মানুষ। আমার কোনো জ্ঞান নেই, তারপরও বলি রাজনীতির সম-সাময়িক ইতিহাস দেখলে বা পড়লে দেখবেন পৃথিবীর দেশে দেশে কোয়ালিশন করছে এক দল আরেক দলের সাথে। আপনি লন্ডনে আসার পর থেকেই আপনি দেখুন ২০১০ সালে ডেভিড ক্যামেরন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী হলেন, মিঃ নিক লেইগ উপপ্রধানমন্ত্রী হলেন। কনজারভেটিব আর লিব ডেম কোয়ালিশন হলো। থেরেসা মে-ও কোয়ালিশনের সরকার। তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। বৃটিশ রাজনীতির যারা পান্ডিত তারা অনেকেই আশংকা করেছিলেন ডেভিড ক্যামেরনের সাথে নিক লেইকের লেগে যাবে। হ্যাং পার্লমেন্ট বেশীদিন টিকেনা। অথচ আমরা কি দেখলাম দিব্যি পাঁচ বছর ডেভিড ক্যামেরন সাহেব ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি বা তার দলের কোনো নেতা লিবডেমের কোনো নেতাকে কটাক্ষ করে কথা বলেননি। আমরা যদি নিকট অতীতের দিকে লক্ষ করি তাহলে দেখবো টনি ব্লেয়ার ও এক সময় লেবার পার্টিকে সমাজতন্ত্র থেকে টেনে ক্যাপিটেলিজমের দিকে নিয়ে এসেছিলেন। তখন লেবার পার্টির স্যম্পান সোসালিষ্টরা বেলজিয়ামের বিরোধিতা করতেন, সমালোচনা করতেন। লেবার পার্টির নামও ব্লেয়ার সাহেবের সময় পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। কনজারভেটিব পার্টির নেতারা তখন শ্লোগান দিয়েছিল ”নিউ লেবার নিউ ডেঞ্জার” লেবার পার্টির বামপন্থী নেতারা তখন বলতেন ওটা টনি ব্লেয়ারের নিউ লেবার। যে লেবার পার্টি নাইন্টিন সেঞ্চুরির পুরোটা সময় ক্ষমতার বাইরে ছিল সেই লেবার পার্টি ৯০ দশকের শেষের দিকে এসে ঠানা ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল, টনি ব্লেয়ারের দলকে ক্ষমতায় রেখেছিলেন। আমি টনি ব্লেয়ারের ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ের সব কিছুই খুবই কাছ থেকে লক্ষ করেছিলাম, তিনি দেশকে লেবার পার্টিকে অনেকদুর এগিয়ে নিয়েছিলেন। অবশ্য বামপন্থী নেতারা তখন বসে বসে টনি ব্লেয়ারের সমালোচনা করতেন। টনি ব্লেয়ারের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন পিঠার মেন্ডেলসন। তারেক রহমান সাহেবের যে রকম বন্ধু ছিলেন গিয়াস উদ্দীন আল মামুন। অবশ্য গিয়াস উদ্দিন আল মামুন সাহেবের সাথে আমি পিঠার মেন্ডেলসনকে জড়াতে চাইনা। কোথায় লিভারপুল আর কোথায় ফকিরাপুল” টনি ব্লেয়ার সাহেবের বন্ধুদের মধ্যে পার্থক্য এই যে পিঠার মেন্ডেলসনরা টনি ব্লেয়ার অথবা পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে সাহায্য করে, কাজ করে, আর গিয়াস উদ্দিন আল মামুনরা একটি দলকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
সে যাক, দলে থেকে অনেকেই অনেক সময় লম্বা লম্বা কথা বলতে পারেন কিন্তু কাজ করতে পারেননা। বিএনপির নেতারা গত ১০ বছরে কি কিছু করতে পেরেছিলেন? বেগম জিয়া জেলে তারা কি একটি ছোট খাটো আন্দোলন জমাতে পেরেছিলেন? পারেননি। আজ নির্বাচনের কারনে দল একটি চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের কারনে সেটি সম্ভব হয়েছে। বর্তমান আওয়ামীলীগ জাসদের সাথে ঐক্য করেনি? ইনু সাহেবকে মন্ত্রী করেননি? মতিয়া চৌধুরীকে মন্ত্রী করেননি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা? আপনারাও তো স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়ীতে পতাকা তুলে দিয়েছিলেন! এরশাদ সাহেবকে নিয়ে আওয়ামীলীগ ঘর সংসার করেনি? রাজনীতিতে এসব করতে হয়। আপোষ করতে হয়। হয়তো অনেকেই বলবেন ডঃ কামাল হোসেন সাহেবের দল বড় না, কিন্তু ৩০০ আসনের মধ্যে যদি বিএনপি ১৫০ আসন পায় তাহলে তো সরকার গঠন করতে পারবেনা। আরো ১ টি আসন লাগবে সেই আসনটি তো হতে পারে ঐক্য ফ্রন্টের। মনে রাখতে হবে পরীক্ষায় পাশ করতে হলে ৩৩ নম্বর লাগে ৩২ হলে হবেনা। ঐক্য ফ্রন্টের ঐক্য যাতে ভেঙ্গে যায় তার জন্য ফান্ড সৃষ্টি হয়েছে। আপনি লক্ষ্য করবেন এমনভাবে আওয়ামীলীগের পেইড লেখক, সাংবাদিকরা পেইড টিভি টক শো ওলারা কথা বলেন কামাল হোসেন সাহেবের বিরুদ্ধে, ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে যেন তাদের ভরা কলসী ডুবিয়ে দিয়েছেন কামাল হোসেন, মান্না সাহেব, সুলতান মনসুর সাহেব সহ অনেকেই। আজকে কামাল হোসেন সাহেবের বিরুদ্ধে ৩৭ বছর আগের রাজনীতির ইতিহাস বের হয়েছে। যিনি বের করেছেন তাকে আমি চিনি। আমি বলতে চাইনা, তবে সময় করে একদিন বলবো। আজ আওয়ামীলীগের অনেক নেতাই সুলতান মনসুর সাহেবের জন্য মায়া কান্না করেন। এই লন্ডনে আওয়ামীলীগের সংস্কারপন্থী নামে পরিচিত আব্দুর রাজ্জাক সাহেব যখন মারা যান তখন কৃতজ্ঞ আওয়ামীলীগের দুএকজন নেতা হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। অনেকেই তাকে দেখতে যাননি। কারন নেত্রী রাগ করবেন বলে। যে আব্দুর রাজ্জাক সাহেব এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় তৎকালীন এক ছাত্র নেতাকে লন্ডনে এনে রেখে গিয়েছিলেন সেই নেতাও নাকি তাকে দেখতে যাননি। হায়রে আফসোস। হায়রে রাজনীতি। সেদিন অবশ্য দেখতে গিয়েছিলেন ডঃ কামাল হোসেন সাহেব, আমারও ঐদিন যাওয়ার কথা ছিল হাসপাতালে কিন্তু পারিনি। রাজ্জাক সাহেব আওয়ামী অযথা অবহেলায় মারা গেলেন, তৎকালীন সময়ে গাফফার ভাই অথবা বাদশাহ ভাই সম্ভবত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন রাজ্জাক সাহেবকে শেষ দেখা দেখার জন্য তিনি দেখেননি। শুনেছি রাজ্জাক সাহেবের ছেলেকে শেষ পর্যন্ত এমপি বানিয়ে আওয়ামীলীগ রাজ্জাক সাহেবের ঋন শোধ করেছে। কিন্তু মান্না সাহেব সুলতান সাহেবের ঋন ডঃ কামাল হোসেন বাঘা কাদের সিদ্দিকী সাহেবের রক্তের ঋন শোধ করতে পারেনি আওয়ামীলীগ। আসলে লিখতে বসলে অনেক কথাই চলে আসে।
জনাব তারেক রহমান আপনাকে দুএকটি কাজ করতে হবে খুবই শক্তভাবে, আপনার দলের নেতাদেরকে বলুন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তারা যেন টেলিভিশনে গিয়ে ফালতু কোনো কথা না বলেন, যারা টেলিভিশন টক শোতে ভালো কথা বলতে পারেন শুধু তাদেরকে যেন টিভিতে পাঠানো হয়। রিজভী সাহেব বিএনপির নেতা তিনি কথা বলুন, ফখরুল ইসলাম সাহেব কথা বলুন। তা ছাড়া টিভি টক শোতে যে সব নেতারা নিয়মিত যান তারাই যেন কথা বলেন। ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাথে যেন কোনোভাবেই কোনো বাজে ব্যবহার বিএনপি থেকে করা না হয়। আওয়ামীলীগ চাচ্ছে সমস্যা সৃষ্টি করতে। কারণ আওয়ামীলীগের ধারণা ছিল বিএনপি নির্বাচনে যাবেনা, নির্বাচনে না গেলে ২০১৪ সালের মত যেনতেন প্রকারে একটি নির্বাচন করে আবারো ক্ষমতায় চলে যাওয়া। অবশ্য এখনো বন্ধুর পথ অনেকটা পাড়ি দিতে হবে, যে পথ মোটেই মসৃন নয়, কুসুমান্তীর্ণ নয়, সে পথ অনেকটাই কন্টকাকীর্ণ। অনেকেই তো আমাকে জিজ্ঞাস করেন নির্বাচন কি আদৌ আওয়ামীলীগ করতে চায়? নির্বাচন নিয়ে আওয়ামীলীগ যে সব চলচাতুরী করছে আমার বিশ্বাস তারা ধরা খাবে। পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশ কে পাঠিয়েছিল? কেন পাঠিয়েছিল? কিসের জন্য পাঠিয়েছিল? কি এচিভ করেছে আওয়ামলীগ? সব খবরই তো মানুষ জানে। বদরুদ্দুজা চৌধুরী সাহবেকে নিয়ে মাথা ঘামানোর আর দরকার নেই। উনি যেখানে গিয়েছেন সেখানেই তিনি নিরাপদ ও স্বাচ্চন্দবোধ করছেন, অতএব যে নেতা যেখানে খুশী তাকে সেখানেই থাকতে দিন। আর আপনার কাছে সর্বশেষ ছোট একটি বিনীত অনুরোধ আপনি দয়া করে লিখিত বক্তৃতা দিবেন। আপনি অনেক ভালো থাকুন এটাই নিরন্তর কামনা।
লেখক সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম
ব্যবস্থাপনা পরিাচলক চ্যানেল আই ইউরোপ।
১৬/১১/২০১৮ ইংরেজী লন্ডন